1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন

জঙ্গি অর্থায়ন বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করলেন গভর্নর

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১২
  • ৯৩ Time View

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ইসলামী ব্যাংক বা বাণিজ্যিক ব্যাংকের ইসলামী শাখা যেসব এলাকায় নেই, সেখানে সেবা কার্যক্রম চালাতে গেলে মানি লন্ডারিং ও জঙ্গি অর্থায়ন হতে পারে। তাই সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে ‘ইসলামিক মাইক্রো ফাইন্যান্স: দারিদ্র দূরীকরণের কৌশল’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘দারিদ্র নিরসনে ব্যাংকগুলোকে ইসলামিক ক্ষুদ্র অর্থায়ন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে।’

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হাসান এম সাদেকের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিক রিসার্চার ড. দাদাং মুলজাওয়ান, বেসরকারি সংস্থা আমান ইকাতিয়ার মালয়েশিয়া’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাদুক হাজাহ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) পরিচালক একেএম নুরুল ফজল বুলবুল প্রমুখ।

অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ইকোনমিক ফোরাম ফাউন্ডেশন (ডব্লিউআইইএফ) এবং সাউথ-ইস্ট এশিয়া কোঅপারেশন (সিএকো) যৌথভাবে সেমিনারটি আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মান্নান।

সেমিনারে ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘শক্তিশালী ইসলামী ব্যাংকিংয়ের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইসলামী মানি মার্কেটকে সহায়তা দিচ্ছে। এছাড়া ইসলামী বন্ড মার্কেটের একটি প্রস্তাব সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে অর্থায়ন বাংলাদেশে দারিদ্র দূরীকরণে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সুযোগ তৈরি করেছে। আর সে ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকের অবদান অনেক। দিন দিন তা বাড়ছে। তাই বাড়ছে ইসলামিক ক্ষুদ্র ঋণের কার্যত্রম। বেড়েছে এর গ্রাহক সংখ্যা। ২০০৯ সালে যেখানে গ্রাহক ছিল দুই লাখ ১১ হাজার ১৯৭ জন। ২০১১ সালে তা বেড়ে গিয়ে হয়েছে চার লাখ ৪৮ হাজার ৭৩৪ জন।’

এসময় গভর্নর আরো বলেন, ‘মোবাইল ব্যাংকিং বাংলাদেশে ব্যাংকিং জগতে বিপ্লব নিয়ে আসবে। এছাড়া তরুণদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৫টি ব্যাংক “স্কুল ব্যাংকিং” শুরু করেছে। অন্য ব্যাংকগুলো খোলার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী এতে হিসেব খুলেছে।’

অনুষ্ঠানে বক্তারা দারিদ্র দূরীকরণে, ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পের বিকাশে এবং ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে ইসলামী অর্থ ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ