স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দেশে অবস্থানরত প্রায় ২
লাখ ২৪ হাজার বিদেশি নাগরিকের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের বাসস্থান ও কর্মস্থল চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি জানান, এদেশে অবস্থানরত বিদেশিদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা সম্পর্কে কূটনীতিকদের জানানো হবে। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, রাজধানী ঢাকার গুলশানে কূটনীতিক এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, তাদের যাতায়াতের পথ, বিনোদনের স্থান ও সামাজিক যোগাযোগের অবস্থানে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ ৫ জেএমবি জঙ্গি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের ধরতে সারাদেশ অভিযান চলছে। অনলাইনে চলছে জঙ্গি কার্যক্রম মনিটরিং। বিদেশিদের নিরাপত্তা বিধানে ‘স্পেশাল টাস্ক গ্রুপ’ গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ায় ইতালীয় এনজিওকর্মী চেজারে তাভেল্লাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর ৫ দিনের মাথায় রংপুরে খুন হন জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও। এ হত্যার বিষয়ে সরকার বলে আসছে, এ দুই খুনের সঙ্গে আইএস’র সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ মেলেনি। আইএস বা তেমন কোনো জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা বাংলাদেশে নেই। অপরদিকে সরকার বিদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বস্ত করলেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে চলাফেরায় সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়া জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।