নিজের সব অর্জন ও পুরস্কার বাংলার মানুষকে উৎসর্গ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বলেছেন, আমার সব অর্জন বাংলার জনগণের জন্য। বাবা-মা, ভাইদের হারিয়ে বাংলার মানুষের মাঝে বাবা-মায়ের স্নেহ, ভাইয়ের ভালোবাসা পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বাঙালি জাতে যাতে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের সাউথ প্লাজায় আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনার জবাবে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের শুরুতেই তিনি এসব কথা বলেন। বিকেলে ৪ টায় অনুষ্ঠান শুরু হলে ৫টা ৪০ মিনিটে তিনি তার বক্তব্য শুরু করেন এবং শেষ করেন ৫ট ৫০ মিটিনে। এর কিছুক্ষণ আগে তিনি সংবর্ধনা মঞ্চে এসে উপস্থিত হন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। এ সময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্যসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নসাধ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাবো। এজন্য যেকোনো ত্যাগ করতে প্রস্তুত আছেন বলেও জানান তিনি। এদেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বসভায় বাংলাদেশের মানুষ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে- এটাই আমার স্বপ্ন।
দেশ ও সংস্কৃতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে আর হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে শেখ হাসিনাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হলো। এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মন্ত্রীপরিষদ সদস্য ও সংসদ সদস্যসহ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়রসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে এ অনুষ্ঠানে রঙিন সাজে সজ্জিত হাজারো শিল্পীর অংশগ্রহণে ‘আর্থ প্যারেড’ শিরোনামে মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে পরিবেশিত হয়। ডিসপ্লেতে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন সংস্কৃতি ফুটে উঠে।
ডিসপ্লে চলাকালে প্রধানমন্ত্রী হাতে তালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে হলে যা যা করা দরকার সবই করবে তার সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা এগিয়ে নিয়ে দেশের মানুষকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করাই তার লক্ষ্য।
পরিবেশের নোবেল পুরষ্কার খ্যাত জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ খেতাব ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ এবং আইসিটি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত এ বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে যোগ দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে প্রধানমন্ত্রীকে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউসেপ) এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এ ২টি পুরস্কারে ভূষিত হন।