২০২১ সাল নাগাদ শতভাগ লোককে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যে আগামী ৮
অক্টোবর বৃহস্পতিবার জাতীয় গ্রীডে সরকারি ও বেসরকারি সেক্টর থেকে ৪৭৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৩টি বিদ্যুৎ প্লান্টের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে দেশে এখন যেমন ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে তেমনি উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার আওতায় নেপাল ও ভুটান থেকেও বিদ্যুৎ আমদানির জন্য আলোচনা চলছে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিদ্যুৎ বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন আজ সোমবার বলেছেন, বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ সেক্টরের উন্নয়নে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন ও সরবরাহ লাইন সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য সেক্টরের সক্ষমতা বাড়াতে সচেষ্ট রয়েছে। ২০২১ সাল নাগাদ দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনই এর লক্ষ্য। বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩ হাজার ২৬৪ মেগাওয়াট থেকে ২০০৯ সাল নাগাদ ১৩ হাজার ৮৮৩ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে এর গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার এই সেক্টরের উন্নয়নের বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাওয়ার স্টেশন আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ৮ অক্টোবর থেকে আশুগঞ্জ কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টে উৎপাদন হবে ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ইউনাইটেড আশুগঞ্জ মোদুলার পাওয়ার প্লান্ট সরবরাহ করবে ২০০ মেগাওয়াট এবং আশুগঞ্জ মিডল্যান্ড পাওয়ার প্লান্টে উৎপাদন হবে ৫১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। তিনি জানান, বর্তমানে দেশের ৭৪ শতাংশ লোক বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করছে এবং এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণে। সরকার ২০২১ সাল নাগাদ ২৪০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে অনেকগুলো প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের পরিচালক (ম্যানেজমেন্ট) রেজাউল করিম জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে ১৩ হাজার ৪০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে এবং আরো ৪৭৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আগামী ৮ অক্টোবর থেকে জাতীয় গ্রীডে যোগ হবে। সরকার ২০২১ সাল নাগাদ দেশের সকল নাগরিককে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।