নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, নদী দূষণ ও দখলরোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর
ও সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধে ‘ইকোলজিক্যাল রেস্টোরেশন অব ফোর রিভার’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। নদীগুলো সম্পূর্ণভাবে দূষণমুক্ত করা না গেলেও যাতে আর দূষিত না হয় সে লক্ষ্যে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আজ রবিবার নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকার চারদিকে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষা, বালু ও তুরাগ নদীর তীরে গড়ে উঠা শিল্প কারখানার বর্জ্য, গৃহস্থালি, ট্যানারি, হাসপাতাল ও ডাইং কারখানার বর্জ্য থেকে নদীকে দূষণমুক্ত করা সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এসব কথা বলেন।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, নৌপরিবহণ সচিব শফিক আলম মেহেদী, রাজউক’র চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন ভূইয়া, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম খান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রইছউল আলম ম-ল ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, দূষণরোধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনটি কঠোরভাবে পালন, জরিমানার ব্যবস্থা ও শীঘ্রই মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হবে। দূষণরোধে স্বল্পমেয়াদি কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো আগামী দু’মাসের মধ্যে পরিকল্পনা তৈরি করবে। পরিকল্পনাগুলো সমন্বিতভাবে নদী সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, নদীর পাড়ে দখল ঠেকানোর পদক্ষেপ হিসেবে ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, আরো ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। একনেক অনুমোদন দিলে এ কাজ শুরু হবে। ওয়াকওয়ের পাশাপাশি বনায়ন করা হচ্ছে, যা খুবই দৃষ্টিনন্দন।
শাজাহান খান বলেন, কর্ণফুলী নদীকে দূষণমুক্ত করতে একইভাবে পরিকল্পনা নেয়া হবে। এছাড়া মেঘনা নদী থেকে ঢাকায় পানি আনা হচ্ছে ট্রিটমেন্টের জন্য, এ নদীর পানি যেন দূষিত না হতে পারে সে বিষয়ে অগ্রিম উদ্যোগ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি জানান, গতকাল থেকে ১২ ফুট ড্রাফটের নৌযান পূর্ণ জোয়ারের সুবিধা নিয়ে চলাচলের জন্য মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি খুলে দেয়া হয়েছে।