1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন

নতুন ব্যাংক লাইসেন্স এপ্রিলের মধ্যে: মুহিত

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১২
  • ১০৬ Time View

আগামী এপ্রিলের মধ্যে নতুন বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৃহস্পতিবার এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়াও ঝুর সঙ্গে এক বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “লাইসেন্স পাওয়ার ৬ মাসের মধ্যে নতুন ব্যাংকগুলোকে কার্যক্রম শুরু করতে হবে।”

মোট কয়টি ব্যাংক লাইসেন্স পাচ্ছে জানতে চাইলে মুহিত বলেন “বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।”

একটি আনাবাসী (এনআরবি) ব্যাংককে লাইসেন্স দেওয়ার কথা আলোচনায় এলেও এ ধরেনের তিনটি ব্যাংককে অনুমোদন দেওয়ার চাপ রয়েছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “চাপ থাকতেই পারে।”

বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে মোট ৩৭টি আবেদন জমা পড়ে। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়।

দেশে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশি মিলিয়ে মোট ৪৭টি ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

পদ্মা সেতু প্রসঙ্গ

পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থায়ন জটিলতা নিয়ে অর্থমন্ত্রী বিশ্ব ব্যাংকে চিঠি দেবেন কি না তা জানতে চাইলে মুহিত বলেন, “এ বিষয়টি এখনো ঠিক করা হয়নি। তবে এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে, কৌশল নির্ধারণ করা হচ্ছে।”

এডিবি পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে দ্রুত একটি সমাধানে আসতে বলেছে এডিবি। জাইকা ও আইডিবিও একই কথা বলেছে।

২৯০ কোটি ডলারের পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংক ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করলেও পরে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অর্থায়ন স্থগিত করে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের পাশাপাশি এডিবি ৬১ কোটি, জাইকা ৪০ কোটি এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ১৪ কোটি ডলার দেওয়ার কথা ছিল।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ঝুলে যাওয়ার পর সরকার জানায়, এ প্রকল্পের জন্য মালয়েশিয়ার সঙ্গে শিগগিরই সমঝোতা স্মারকে সই হবে। তবে পরে জানানো হয়, চীনও এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে।

কাদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে তা এখনো চূড়ান্ত না হলেও আগামী অক্টোবরের মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বুধবার সাংবাদিকদের জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়াও সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “পদ্মা সেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী।”

তার সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে মুহিত সাংবাদিকদের বলেন, “এডিবির সাথে বাংলাদেশের ভাল সর্ম্পক রয়েছে। সোশ্যাল সিকিউিরিটি প্রোগ্রামে এক বিলিয়ন ডলার দেওয়ার জন্য এডিবিকে অনুরোধ করা হয়েছে।”

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ