বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতেই পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজ শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহে । সমস্ত জটিলতার অবসান ঘটিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ও বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি আগামী সপ্তাহে ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বই ছাপানোর কাজ শুরু করবে বলে জানা গেছে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর ঐকান্তিক চেষ্টায় প্রাথমিকের বই ছাপানোর কার্যাদেশ পাওয়া ২২ মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমস্ত জটিলতার অবসান হয়েছে। এখন কার্যাদেশ পাওয়া এ প্রতিষ্ঠানগুলো পিজি (পারফরমেন্স গ্যারান্টি) লেটার দেবে। এরপর তাদের সঙ্গে বই ছাপানোর চুক্তি হবে। চুক্তির পরই প্রতিষ্ঠানগুলো বই ছাপানোর কাজ শুরু করতে পারবে।
তিনি বলেন, ৯৮টি লটে প্রাথমিকের ১০ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার ১১টি বই ছাপানোর কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। ৯৮টি লটের জন্য ২২ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৯৮ চুক্তি সম্পাদিত হবে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, কার্যাদেশ দেয়ার ২৮ দিনের মধ্যে চুক্তিগুলো সম্পন্ন করার বিধান রয়েছে। কিন্তু মানসম্মত বই ছাপানোর বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন শর্তের কারণে কার্যাদেশ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যে মতবিরোধ দেয়া দিয়েছিল তা নিরসন করতে প্রায় এক সপ্তাহ নষ্ট হয়ে যায়।
বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত বলেন, পাঠ্যপুস্তকের পান্ডুলিপি ও এনসিটিবি’র অনুমতি পাওয়া মাত্র তারা দেরি না করে, ছাপার কাজ শুরু করে দেবে।
তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রীকে তারা কথা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন ২০১৬ সালের পয়লা জানুয়ারি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পারেন, সে লক্ষ্যেই তারা যে সময়গুলো নষ্ট হয়েছে তা পুষিয়ে দিতে ডে-নাইট কাজ করবেন।
তিনি বলেন, মানের প্রসঙ্গ এনেই গত ১৭ আগস্ট বিশ্বব্যাংক জামানত ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ, কাগজ কেনার পর বিশ্বব্যাংকের কারিগরি শাখা কাগজের মান ও ফর্মা পরীক্ষা, উপজেলা পর্যায়ে যাওয়া বইয়ের মান পরীক্ষার শর্ত দেয়। মান পরীক্ষার পর সন্তোষজনক হলে বিল পরিশোধ করার কথা জানায় বিশ্বব্যাংক।
এনসিটিবি জানায়, ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকের প্রায় ১১ কোটি বই ছাপাতে ৩৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও ২২১ কোটি টাকায় বই ছাপানোর কাজ পায় দেশীয় ২২টি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে বিশ্বব্যাংক দেবে ৯ শতাংশ, অর্থাৎ, ১৮ কোটি টাকা।