1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন

বৃটেনে বাংলাদেশি এক পরিবারের ১২ সদস্য নিখোঁজ

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০১৫
  • ৭৩ Time View

briten pএবার ব্রিটেনের ১২ সদস্যের পুরো বাংলাদেশী একটি পরিবার দীর্ঘদিন থেকে তাদের লুটনস্থ হোম থেকে নিখোঁজ অবস্থায় আছেন।

জানগেছে, গত মে মাসে তারা বাংলাদেশে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এর পর থেকে তারা আর লুটনে ফিরে আসেননি। মাঝপথে তুর্কি হয়ে সিরিয়া গমন, না কি পুরো পরিবার কোনো সন্ত্রাসীদের খপ্পড়ে জিম্মি হয়ে আছেন কিনা- পুলিশের খাতায়ও এ নিয়ে কোন সংবাদ বা তথ্য নেই।

তবে পুলিশ নানা জায়গায় খতিয়ে দেখছে, পরিবারের আত্মীয় স্বজনের সাথে নানাভাবে যোগাযোগ করে জানার চেষ্টা করছে পুরো পরিবারটি কোথায় আছে বা লাপাত্তা কেমন করে হয়ে গেলো। আত্মীয়রাও দেশের বাড়ি থেকে কোনো খবরও পুলিশকে দিতে পারেননি। পুলিশ সন্দেহ করছে পুরো পরিবার তুর্কি হয়ে সিরিয়া গমন করেছে অথবা সন্ত্রাসীদের দ্বারা জিম্মি হয়ে আছেন?

পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে এখন পুলিশ সহ আত্মীয় স্বজন উদ্বিগ্ন । পুলিশের সন্দেহ ফেরার পথে পরিবার তুর্কি হয়ে সিরিয়া গমন করেছে।

বাংলাদেশি এই পরিবার গত ১৭ মে বাংলাদেশে যায়। তাদের সাথে শিশুও রয়েছে। পরিবারের কর্তা  ৭৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ হান্নান ডায়াবেটিসের রোগী এবং গৃহকর্তী ৫৩ বছর বয়সী মিনারা খাতুন ক্যানসারের রোগী বলে জানা গেছে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, তাদের মেয়ে রাজিয়া খাতুন(২১), ছেলে মোহাম্মদ জায়েদ হোসেন (২৫), মোহাম্মদ তৌফিক হোসেন (১৯), মোহাম্মদ আবুল কাশেম সাকের (৩১) তারই স্ত্রী শাহিদা খানম (২৭), মোহাম্মদ সালেহ হসেন (২৬) ও তার স্ত্রী রোশনারা বেগম (২৪) এবং তাদের তিন সন্তান যাদের বয়স ১ থেকে ১১ এর মধ্যে।

বেডফোর্ডশায়ারের পুলিশ নিশ্চিত করেছেন, পরিবার বর্ডার ক্রস করেছেন এবং পরিবারের নিকটাত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। পুলিশ এটা নিশ্চিত করছে যে, এই পরিবার ব্রিটেনে ফেরত আসতে ব্যর্থ হয়েছে এবং মিসিং আছে বাংলাদেশে যাওয়ার পর থেকে।

এদিকে বাংলাদেশের পুলিশের কন্ট্রোল রুমে এখন পর্যন্ত এধরনের কোন তথ্য রেকর্ড নেই। তাই চাঞ্চল্য সৃস্টি হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এই পরিবার এখন কোথায় আছে বা ইতোমধ্যে দেশ ত্যাগ করে থাকলে কোথায় তাদের ডেস্টিনেশন হয়েছে।

এদিকে পরিবারের নিকটাত্মীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পত্রে একটি বিবৃতি পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, পুরো পরিবারের বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে এবং একই সাথে এভাবে লাপাত্তা হয়ে যাওয়াতে তারাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। যদি কারো কাছে এ সংক্রান্ত কোন তথ্য জানা থাকে তাহলে পুলিশের সাথে সরাসরি যোগাযোগ ও শেয়ার করার জন্য অথবা নিকটাত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ