1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন

টিংকুর মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১২
  • ১০৮ Time View

সাবেক ছাত্রনেতা আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকুর প্রথম নামাজে জানাজা বুধবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে সর্বস্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। এরপর মরদেহ নেওয়া হবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাকে নেওয়া হবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।

নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকু বুধবার ভোর ৪টার দিকে মারা যান (ইন্নালিল্লাহে…..রাজেউন)। মস্তিস্কের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৫০ বছর।

পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০১০ সালের নভেম্বরে টিংকুর মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়লে তাকে যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও তা ক্যান্সারের রূপ নেয়। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত মাসে তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে।

সকালে টিংকুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার রাজধানীর মগবাজারের বাসায়। সেখানে স্বজন ও সহকর্মীদের আহাজারিতে শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এরপর বেলা ১টার দিকে জানাজার জন্য নেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে।

প্রথম জানাজায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামÐলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরিফীন সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমান, আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকরা।

জানাজা শেষে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এদেশের গণতন্ত্রের বিকাশে জাহাংগীর সাত্তার টিংকুর অনেক অবদান রয়েছে। তার জীবন ও কর্ম থেকে নবীণ প্রজন্মের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদেও অনেক কিছু শেখার আছে।

স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় টিংকু ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রনেতা। তিনি ১৯৮৯-৯০ মেয়াদে জাতীয় ছাত্রলীগের সর্বশেষ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য’ গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। পরে মহিউদ্দিন আহম্মেদ ও আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বাধীন বাকশাল আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হলে টিংকুও আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের আল ফালাহ জামে মসজিদ এবং বাদ আসর রাউজানে আরো দুটি জানাজা হবে। এরপর রাউজানে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে এই সাবেক ছাত্রনেতাকে।

কর্মজীবনে টিংকু ছিলেন একটি নির্মাণ সংস্থার চেয়ারম্যান। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ