পদত্যাগ করার পরও মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দায়িত্ব পালন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং আর্থিক সুবিধা গ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও রিটে মন্ত্রীদের দায়িত্ব পালনে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞারও আবেদন করা হয়।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক মো. খালেক মনি রিটটি দায়ের করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মোশাররফ হোসাইন ভূঁইঞাসহ ৪৫ জন পদত্যাগী মন্ত্রীকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারীর আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দ গণমাধ্যমকে জানান, সংবিধানের ৫৮ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত অন্য কোনো মন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে, যদি কোনো মন্ত্রী রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করিবার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন।’ ফলে পদত্যাগপত্র দেওয়ার পর মন্ত্রীরা রাষ্ট্রীয় কোনো দায়িত্ব পালন করলে তা সংবিধান অনুযায়ী অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে।
এর আগে বুধবার আইনজীবী ড. তুহিন মালিক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল বাকী মন্ত্রীদের দায়িত্ব পালন কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ ৪৯ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠান।
তুহিন মালিক ওই নোটিশে এ দায়িত্ব পালনকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’র অভিযোগ বলেও ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “পদত্যাগের পর মন্ত্রীরা দায়িত্ব পালন করলে সংবিধানের ৭ক (১) ও খ অনুযায়ী তা হবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ। একই সাথে যারা অবৈধ মন্ত্রীদের নির্দেশ পালন করবে সংবিধান অনুযায়ী তারাও অপরাধী হবেন।”
গত ১১ নভেম্বর মন্ত্রীসভার বৈঠকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র তুলে দেন।