1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল কোনো ছাড় নয়, ইউক্রেনকে ডনবাস ছাড়তে হবে নয়তো শক্তি প্রয়োগে স্বাধীন করব কেউ কেউ জুলাইয়ের স্পিরিটকে বিক্রি করে দিচ্ছে : শিবির সভাপতি ঢাকায় পৌঁছেছেন ডা. জুবাইদা বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আজ সারা দেশে দোয়া প্রার্থনা ফাঁকা আরো ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিএনপি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইজিপিকে অপসারণে আইনি নোটিশ জুবাইদা রহমান কাল সকালে দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন : মাহদী আমিন মধুপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালিদের ৮৮টি বন মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ৬ ডিসেম্বর থেকে সচিবালয়-যমুনাসহ বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

পর্তুগালের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার দিবস পালিত

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ২৭ Time View

১ ডিসেম্বর পর্তুগালজুড়ে উদযাপিত হয়েছে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার দিবস। ১৬৪০ সালের এই দিনে পর্তুগিজ জনগণ স্পেনীয় শাসনের বিরুদ্ধে সফল বিদ্রোহ করে নিজেদের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে। সেই ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করেই প্রতি বছর ডিসেম্বরের প্রথম দিন জাতীয়ভাবে পালন করা হয় দিবসটি।

রাজধানী লিসবনে সকাল থেকেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সামরিক কুচকাওয়াজ এবং রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দিবসের তাৎপর্য স্মরণ করে বক্তব্য দেন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে নানা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

১৬৪০ সালের আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন দেশটির অভিজাত শ্রেণি ও সামরিক কর্মকর্তারা, যাদের প্রচেষ্টায় স্পেনের তিন দশকেরও বেশি সময়ের নিয়ন্ত্রণের অবসান ঘটে এবং ব্রাগানজা রাজবংশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পর্তুগালের সার্বভৌমত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। এ আন্দোলন পর্তুগালের ইতিহাসে ‘রেস্টোরেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্স’ নামে পরিচিত।

পর্তুগাল নবীন প্রজন্মের কাছে এই দিবসকে শুধু ঐতিহাসিক ঘটনা নয়, বরং জাতীয় পরিচয় ও স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছে। স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের ৩৮৫ বছর পরেও দিবসটি নাগরিকদের মনে স্বাধীনতার মূল্য ও দেশপ্রেমের আবেগ নতুন করে জাগিয়ে তোলে। পর্তুগালের স্বাধীনতা হরণ হয়েছিল ১৫৮০ সালে, যখন দেশের সিংহাসনের উত্তরাধিকার সংকটকে কাজে লাগিয়ে স্পেন ক্ষমতার দখল নেয়। দীর্ঘ ৬০ বছর এই ‘আইবেরিয়ান ইউনিয়ন’-এর অধীনে পর্তুগাল তার রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন হারিয়ে ফেলে। বাণিজ্য, উপনিবেশ ও সামরিক কর্মকাণ্ডে স্পেনের স্বার্থ অগ্রাধিকার পেতে থাকে, পর্তুগালের নিজস্ব নীতিনির্ধারণ প্রায় হতাশাজনক মাত্রায় কমে যায়।

এই পরিস্থিতিতে অভিজাত শ্রেণি, সামরিক নেতারা এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্রমে জেগে ওঠে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা। ১৬৪০ সালের বিপ্লবটি মূলত কনজুরাসাও ডি ১৬৪০ নামে পরিচিত, যেখানে মাত্র কয়েক ঘণ্টার অভিযানে লিসবনের রাজকীয় প্রশাসনকে অবরুদ্ধ করা হয়। বিদ্রোহীরা স্পেনীয় শাসনের পতন ঘোষণা করে এবং ব্রাগানজা ডিউক জোয়াও চতুর্থকে পর্তুগালের নতুন রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। এ ঘটনার মাধ্যমেই শুরু হয় ব্রাগানজা রাজবংশ, যা প্রায় তিন শতাব্দী ধরে পর্তুগালের শাসন পরিচালনা করে এবং দেশটির রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার ভিত্তি স্থাপন করে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ