1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন

সংসদ নির্বাচনের পর আইএমএফের ষষ্ঠ কিস্তি পাবে বাংলাদেশ

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৬৮ Time View

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি এ বছরের শেষে আসছে না। কারণ সংস্থাটি সংস্কার কর্মসূচির ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে নতুন রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায়।

বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানরত অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পরের কিস্তি মার্চ বা এপ্রিলে আসতে পারে।
তবে এটা বাংলাদেশের জন্য কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বরং ভালোই হবে।’

তিনি আরো বলেন, আইএমএফ ষষ্ঠ কিস্তিটি আপাতত স্থগিত রেখে ষষ্ঠ ও সপ্তম কিস্তি মিলিয়ে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার একসঙ্গে ছাড়তে চায়। এর আগে তৃতীয় কিস্তির পূর্বশর্ত পূরণে বিলম্ব হওয়ায় তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির অর্থ একসঙ্গে ছাড় করেছিল আইএমএফ।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে ষষ্ঠ কিস্তির পর্যালোচনা সম্পন্ন নাও হতে পারে।
কিস্তি ছাড়ের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়া বাকি সব শর্তই পূরণ করা হয়েছে। ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ পেতে দেরি হওয়ার মূল কারণ হলো, দাতা সংস্থাগুলো নিশ্চিত হতে চায় যে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কারমূলক কার্যক্রমগুলো নতুন রাজনৈতিক সরকার বাতিল করবে না।

অর্থ উপদেষ্টা তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে ‘পরবর্তীতে যে সরকারই আসুক না কেন, এই সংস্কার কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’ আগামী ২৯ অক্টোবর আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল দুই সপ্তাহের পর্যালোচনার জন্য ঢাকায় আসবে।
গত জুন পর্যন্ত সময়কালের অগ্রগতি পর্যালোচনা শেষে কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ অনুমোদনে দেরি হলেও অর্থনীতিতে সেটার কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না কারণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও ভারসাম্য যথেষ্ট শক্ত অবস্থানে আছে। তিনি জানান, ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সংস্কারমূলক উদ্যোগের প্রশংসা করেছে।

উল্লেখ্য, আইএমএফ মূলত ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ অনুমোদন করে। এ বছরের জুনে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড় করার সময় ঋণের মেয়াদ ছয় মাস ও ঋণের পরিমাণ ৮০০ মিলিয়ন ডলার বাড়ানো হয়েছে।
এ নিয়ে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ