1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১৮ অপরাহ্ন

ওয়ানডেতে ৩৫ ছক্কায় ৩১৪ রান অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারের

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৪৮ Time View

অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার হারজাস সিং। শনিবার ওয়েস্টার্ন সাবার্বসের হয়ে সিডনি ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে সীমিত ওভারের ম্যাচে খেললেন অবিশ্বাস্য এক ইনিংস—মাত্র ১৪১ বলে ৩১৪ রানের ঝোড়ো ত্রিশতক! এই ইনিংসে তিনি হাঁকান রেকর্ড ৩৫টি ছক্কা ও ১২টি চার। তার এই ইনিংস পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে।

গ্রেড লেভেলের সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এটি প্রথমবার কোনো ক্রিকেটারের ত্রিশতক।
এছাড়া এই ইনিংসের সুবাদে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন এক বিরল ও মর্যাদাপূর্ণ তালিকায়—নিউ সাউথ ওয়েলস প্রিমিয়ার ফার্স্ট-গ্রেড ক্রিকেটে ত্রিশতক করা মাত্র তিন ব্যাটারের একজন তিনি। বাকি দুজন হলেন ফিল জ্যাকস (৩২১) ও ভিক্টর ট্রাম্পার (৩৩৫)।

সিডনিতে জন্ম নেওয়া এই তরুণের শিকড় ভারতের চণ্ডীগড়ে। তার বাবা-মা ২০০০ সালে সেখান থেকে সিডনিতে পাড়ি জমান।
হারজাস ২০২৪ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও নজর কাড়েন, যেখানে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ৬৪ বলে ৫৫ রান করে দলের সর্বোচ্চ স্কোর গড়েছিলেন। তার ইনিংসেই অস্ট্রেলিয়া গড়েছিল ২৫৩ রানের লড়াকু সংগ্রহ।

রেকর্ড গড়া ইনিংস শেষে ফক্স ক্রিকেটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হারজাস বলেন, ‘নিশ্চয়ই এটা আমার জীবনের সবচেয়ে নিখুঁত ব্যাটিং। অফ সিজনে পাওয়ার হিটিং নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছি, আর আজ সেটা সফল হতে দেখে অসাধারণ লাগছে।

তিনি আরো যোগ করেন, ‘গত এক-দুই মৌসুম নিজের খেলায় মনোযোগ দিতে পারিনি। এবার পুরোপুরি নিজের পারফরম্যান্সে মন দিয়েছি, আর তার ফল পাচ্ছি।’

প্রথমে ব্যাটিং করে ওয়েস্টার্ন সাবার্বস ওপেনাররা নিকোলাস কাটলার ও জোশুয়া ক্লার্ক ৭০ রানের জুটি গড়ে দলের জন্য শক্ত ভিত্তি তৈরি করেন। এরপর তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে নামা হারজাস সিংহ প্রথম ৫ বলে কোনো রান পাননি। কিন্তু ষষ্ঠ বলেই তিনি জো ডেভিসকে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে মেরে শুরু করেন দারুণ ব্যাটিং।
এটি ছিল তার আগমনের মাত্র একটি ঝলক। এরপর তিনি নিয়মিতভাবে সীমারেখা খোঁজা শুরু করেন। ১৮তম ওভারে হান্টার হলের বিরুদ্ধে ১৪ রান নিয়ে তিনি ছন্দে আসেন। ২০তম ওভারে ৩৩ বল খেলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।

এরপর কিছুটা ধীরগতিতে খেলেন। পরবর্তী শতক পর্যন্ত তিনি ৪১ বল নেন। কিন্তু এরপরই তিনি হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। পরবর্তী দুই ওভারেই ডেভিস এবং হলকে তছনছ করেন, যেখানে পাঁচটি ছয় এবং একটি চার মারেন। এরপর থমাস মুলেনের ৩৭তম ওভারে পাঁচটি ছয় মারেন।

১০৩ বল খেলে ২০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। দ্বিতীয় শতকটি আসে মাত্র ২৯ বলে। কিন্তু এখানেই থামেননি। শেষ দশ ওভারে ব্যাটিং চালিয়ে যান। ১২৯ বল খেলে ২৮৩ রানে যখন তিনি শেষ ওভারে তখন প্রথম তিনটি বলেই তিনটি ছয় মেরে ৩০১ রানে পৌঁছান। শেষ পর্যন্ত তিনি শেষ ওভারে আউট হন ১৪১ বল খেলে ৩১৪ রানে, যার মধ্যে ৩৪ ছয় এবং ১২ চার। বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি থেকে আসে মোট ২৫২ রান।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ