1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১১ পূর্বাহ্ন

একটি ফোন কলই যেভাবে ক্ষমতাচ্যুত করল থাই প্রধানমন্ত্রীকে

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫৭ Time View

একটি ফোন কলেই প্রধানমন্ত্রীর পদ হারালেন, হ্যাঁ থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রা ও তার মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করেছেন। কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বিরোধে তার ভূমিকার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা দেশটিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখে ঠেলে দিয়েছে। এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, গত মাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার কন্যা পেতংতার্নের দায়িত্ব সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল।

গত জুন মাসে কম্বোডিয়ার নেতা হুন সেনের সঙ্গে ফোনে আলাপ করেন পেতংতার্ন। পরে যা হুন সেন নিজে ফাঁস করে দেন। শুক্রবার সাংবিধানিক আদালত রায়ে বলেছেন, ওই ফোন কলের মাধ্যমে পেতংতার্ন নৈতিকতার লঙ্ঘন করেছেন।

ফোনালাপে শোনা যায়, সীমান্ত বিরোধ নিয়ে হুন সেনের সঙ্গে সমঝোতার আলোচনা করছেন পেতংতার্ন।
এক পর্যায়ে তিনি এক সেনা কর্মকর্তার সমালোচনা করেন।

হুন সেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পেতংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রার বন্ধু হিসেবে পরিচিত। ফোন কল ফাঁসের পর পেতংতার্ন সেটির ব্যাখ্যায় বলেন, হুন সেনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নই ছিল তার উদ্দেশ্য। হুন সেন ওই কথোপকথনটি গোপন রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

ফোন কলটি ফাঁসের পর বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন পেতংতার্ন ও তাঁর রাজনৈতিক দল পিউ থাই পার্টি। সে সময় পেতংতার্নের পদত্যাগের দাবি ওঠে। তাঁর জোটের সঙ্গীদের কেউ কেউ সরকার থেকে সরে দাঁড়ান।

গত জুলাইয়ে সাংবিধানিক আদালতের নয়জন বিচারকের মধ্যে সাতজন পেতংতার্নকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার পক্ষে ভোট দেন। ফলে শুক্রবারের সিদ্ধান্তটি দেশটির রাজনীতিবিদদের মধ্যে কোনো বিস্ময় জাগায়নি।
সংবিধান অনুযায়ী, এখন সংসদ সদস্যদের মধ্যে থেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে।

বিবিসি বলছে, আদালতের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তের কারণে মানুষের মধ্যে এক ধরনের বিশ্বাস জন্ম হয়েছে। সেটি হলো, রক্ষণশীল ও রাজতন্ত্রপন্থীরা যাদের হুমকি মনে করে আদালত সবসময় তাদের বিরুদ্ধে রায় দেন। বিশ্বে খুব কম দেশেই বিচার বিভাগের একটি শাখা রাজনীতিতে এমন কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে।

এখন প্রশ্ন উঠছে হুন সেন কেন তাঁর বন্ধুর মেয়ের সঙ্গে হওয়া আলাপ ফাঁস করলেন। বিবিসি বলছে, বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা সীমান্ত বিরোধ নিয়ে একটি মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, সীমান্ত বিরোধ নিয়ে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরার জন্য কম্বোডিয়ার নেতৃত্বের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করাটা অপেশাদার। হুন সেন বেশ রেগে গিয়ে এর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। তিনি পেতংতার্নের মন্তব্যকে অপমান হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, এমন ঘটনাই তাঁকে সত্য প্রকাশে বাধ্য করেছে।

কিন্তু হুন সেনের সত্য প্রকাশের সিদ্ধান্ত থাইল্যান্ডে নতুন করে রাজনৈতিক সংকট তৈরি করে। কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে উত্তেজনা উসকে দেয়। গত মাসে এই দুই দেশের সীমান্তে সেনাদের মধ্যে পাঁচদিন ধরে সংঘাত চলে। এতে ৪০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ