1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন

জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতার কথা জানালেন বিল গেটস

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৬১ Time View

বর্তমানে বিল গেটসের মোট সম্পদের পরিমাণ ১০৭.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিল গেটস বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনী ছিলেন। এরপর মাঝখানের কয়েক বছর অ্যামাজন-এর প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের কাছে এ খেতাব হারালেও- ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আবারও বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তকমা লাভ করেন।

তবে বিশ্বের অন্যতম এই শীর্ষ ধনী ব্যক্তিটির জীবনের রয়েছে নানা ব্যর্থতা।
আর সবচেয়ে ব্যর্থতা হলো তার সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডা ফ্রেন্সের সঙ্গে দীর্ঘ ২৭ বছরের দাম্পত্য টিকিয়ে রাখতে না পারা। মানবহিতৈষী এই মার্কিন নাগরিক বলেন, বিচ্ছেদের ঘটনাটি তিনি সারা জীবনের ব্যর্থতার ‘তালিকার শীর্ষে’ রাখবেন। তিনি বলেন, ‘আরও অনেক ব্যর্থতা রয়েছে। তবে কোনোটাই এ রকম নয়।

তিনি বলেন, ‘এ ভুলের জন্য আমি সবচেয়ে বেশি অনুতপ্ত।’ গত শনিবার লন্ডনের দ্য টাইমস পত্রিকাকে তিনি এসব কথা বলেন। বিল গেটস বলেন, ‘বিচ্ছেদের পর অন্তত দুই বছর বিষয়টি আমাকে ও মেলিন্ডাকে পীড়া দিয়েছিল।’

মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা আশা করেছিলেন, বাবা বিল সিনিয়র ও মা মেরির মতো তার ও মেলিন্ডার দাম্পত্যজীবনও মধুর হবে।
তার মা–বাবা দীর্ঘ ৪৫ বছর একসঙ্গে ছিলেন।

বিল গেটস বলেন, ‘নানা ঘটনার স্মৃতি ও সন্তান নিয়ে একসঙ্গে জীবন (বিবাহিত জীবন) কাটানো নিশ্চয় দারুণ একটি বিষয়।’

গত মাসে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলা দেখার সময় বিল গেটস ও পলা হার্ডকে পাশাপাশি বসে থাকতে দেখা গেছে। সাবেক এই জুটির প্রথম দেখা হয় ১৯৮৭ সালে। ওই বছরই মাইক্রোসফটের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তারা।
মেলিন্ডা তখন মাইক্রোসফটের প্রোডাক্ট ম্যানেজার। বিল তখন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। তিনি মেলিন্ডাকে পার্কিং লটে ডেটিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে কথা প্রচলিত রয়েছে।

সাত বছর প্রেম করার পর ১৯৯৪ সালের শুরুর দিকে বিয়ে করেন বিল ও মেলিন্ডা। এই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। জেনিফার (২৮), রোরি (২৫) ও ফিবি (২২)।

৬৯ বছর বয়সী এই ধনকুবের বলেন, ‘মেলিন্ডা ও আমার যখন দেখা হয়, তখন আমি মোটামুটি সফল ছিলাম। কিন্তু বিরাট সফল হয়েছিলাম, সেটা বলা যাবে না। আমাদের বিয়ের পরই বড় রকমের সাফল্য এসেছিল।’

২০২১ সালে বিল ও মেলিন্ডা বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। এর এক বছর আগে থেকেই তারা আলাদা থাকছিলেন। বিচ্ছেদের ঘোষণার দিন তারা বলেন, জীবনের পরের ধাপে দম্পতি হিসেবে তারা একসঙ্গে থাকতে পারবেন না।

পরে ২০২৩ সালে এনসিআর গ্লোবালের সাবেক নির্বাহী পলা হার্ডের সঙ্গে দেখা–সাক্ষাৎ (ডেটিং) শুরু করেন বিল গেটস। তিনি ওরাকলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক হার্ডের স্ত্রী ছিলেন। মার্ক হার্ড ২০১৯ সালে মারা যান। অন্যদিকে মেলিন্ডাও ২০২৪ সালের অক্টোবরে তার ছেলেবন্ধু ফিলিপ ভনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি জনসমক্ষে নিয়ে আসেন।

বিল বলেন, ‘বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া আমাদের জন্য কঠিন বিষয় ছিল। এরপর তিনি (মেলিন্ডা) ফাউন্ডেশন ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমি হতাশ হই।’

বিল ও মেলিন্ডা মিলে দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ গড়ে তুলেছিলেন। এ ফাউন্ডেশন বিশ্বের নানা প্রান্তে কাজ করছে। বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য, রোগবালাই ও বৈষম্য দূরীকরণে কাজ করছে এই ফাউন্ডেশন। বিচ্ছেদের তিন বছর পর ২০২৪ সালে মেলিন্ডা ফাউন্ডেশন থেকে পদত্যাগ করলে এর নাম পাল্টে গেটস ফাউন্ডেশন করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ