1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন

কোভিড বিশ্বব্যাপী মানুষের আয়ু ১.৬ বছর কমিয়েছে : গবেষণা

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪
  • ২৫ Time View

কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম দুই বছরে বিশ্বব্যাপী মানুষের গড় আয়ু ১.৬ বছর কমেছে। তবে পূর্বে যে ধারণা করা হয়েছিল তার চেয়ে ব্যাপক কমেছে।

আজ মঙ্গলবার একটি বড় গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই) এর তথ্য অনুসন্ধানকারী গবেষকদের মতে, বিশ্বব্যাপী আয়ুষ্কালের এক দশক-দীর্ঘ বৃদ্ধির পর এটি এখন উল্টো দিকে ঘুরছে।

আইএইচএমই গবেষক এবং দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার প্রধান লেখক অস্টিন শুমাখার বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কোভিড-১৯ মহামারীটি অর্ধ শতাব্দীতে সংঘাত এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেখা যে কোনও ঘটনার চেয়ে আরও গভীর প্রভাব ফেলেছে।’

তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২০২০-২০২১ সময়কালে ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের বিশ্লেষণে ৮৪ শতাংশে আয়ু হ্রাস পেয়েছে। যা নতুন ভাইরাসগুলোর ‘বিধ্বংসী সম্ভাব্য প্রভাব প্রদর্শন করে।’

এই সময়ে ১৫ বছরের বেশি মানুষের মৃত্যুর হার পুরুষদের জন্য ২২ শতাংশ এবং মহিলাদের জন্য ১৭ শতাংশ বেড়েছে।

গবেষকরা অনুমান করছেন, মেক্সিকো সিটি, পেরু এবং বলিভিয়ায় আয়ু সবচেয়ে বেশি কমেছে।

তবে আইএইচএমইয়ের ল্যান্ডমার্ক গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ স্টাডির আপডেট করা হিসাবে কিছু ভালো খবর পাওয়া যায়। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় অর্ধ মিলিয়ন কম শিশু মারা গেছে, যা শিশু মৃত্যুহারের দীর্ঘমেয়াদি পতন অব্যাহত রেখেছে।

আইএইচএমই গবেষক এই ‘অবিশ্বাস্য অগ্রগতি’কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘বিশ্বকে এখন পরবর্তী মহামারি এবং বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যের বিশাল বৈষম্য মোকাবেলার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।’

গবেষকরা বলেছেন, ১৯৫০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে গড় আয়ু ২৩ বছর বেড়ে ৪৯ থেকে ৭২ বছর হয়েছে।

কোভিড ২০২০-২১ সময়কালে সরাসরি ভাইরাস থেকে বা পরোক্ষভাবে মহামারী-সম্পর্কিত কারণে অতিরিক্ত ১৫.৯ মিলিয়ন লোকের মৃত্যু হয়েছে।

এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পূর্বে অনুমান করা থেকে এক মিলিয়ন বেশি অতিরিক্ত মৃত্যু।

মহামারি না থাকলে কতজন মারা যেত বলে অনুমিত হিসাবের সঙ্গে মোট মৃত্যুর সংখ্যা তুলনা করে অতিরিক্ত মৃত্যুর হিসাব করা হয়।

বার্বাডোজ, নিউজিল্যান্ড এবং অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা মহামারি চলাকালে সবচেয়ে কম মৃত্যুর হারের দেশগুলোর মধ্যে ছিল। যা আংশিকভাবে প্রতিফলিত করে যে কীভাবে বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলো প্রায়শই কোভিডের সম্পূর্ণ আঘাত থেকে রক্ষা পায়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ