1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন

ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা: মুক্তির সময় বাড়ল তিন মাস

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২
  • ২৭ Time View

ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের খেলাপি থেকে মুক্তির বিশেষ সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণের মাত্র ২ শতাংশ পরিশোধ করলেই নিয়মিত করতে পারবে খেলাপি গ্রাহক।

চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ সুবিধার মেয়াদ ছিল, যা তিন মাস বাড়িয়ে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, এক্সিট সুবিধার আবেদন দাখিলের সময়সীমা চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। বর্ধিত সময়ে আসা আবেদন সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি করবে। এর আগে এ সংক্রান্ত নির্দেশনার অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।

সার্কুলারে বলা হয়, দেশের অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর চলমান নেতিবাচক প্রভাব এবং বিবিধ নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে ঋণগ্রহীতারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অনেক ঋণ যথাসময়ে আদায় হচ্ছে না। ফলশ্রুতিতে তা বিরূপমানে শ্রেণিকৃত হয়ে পড়ছে এবং ঋণের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের ঋণ আদায় কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন, তারল্য পরিস্থিতি উন্নয়ন ও আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখভিত্তিক ‘মন্দ বা ক্ষতি’ মানে শ্রেণিকৃত ঋণ স্থিতির ন্যূনতম ২ শতাংশ অর্থ ডাউন পেমেন্ট জমা দিয়ে এক্সিট সুবিধার আবেদন করতে হবে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ সমন্বয়ের জন্য এক্সিট সুবিধা মঞ্জুরির সময় থেকে সর্বোচ্চ এক বছর সময় দেওয়া যাবে। পাশাপাশি উক্ত মেয়াদের মধ্যে এককালীন বা মাসিক বা ত্রৈমাসিক কিস্তিতে অর্থ আদায় করা যাবে। এক্সিট সুবিধা মঞ্জুরির পর থেকে ঋণ সমন্বয় পর্যন্ত আদায়যোগ্য অর্থের ওপর কস্ট অব ফান্ড হারে সুদ আরোপ করা যাবে। তবে উক্ত সুদ আদায় না করে আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। ঋণের অর্থ পরিশোধ না করা পর্যন্ত হিসাবটি পূর্বের ন্যায় ‘মন্দ বা ক্ষতি’ মানে শ্রেণিকৃত থাকবে।

সুবিধা প্রদানকালে আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে ঋণের আরোপিত সুদ সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ, অনারোপিত সুদ, দণ্ড সুদ বা অন্য কোন চার্জ মওকুফ করা যাবে। তবে কোনোক্রমেই ঋণের আসল অর্থ মওকুফ করা যাবে না। এক্ষেত্রে মওকুফকৃত সুদ একটি পৃথক সুদবিহীন ব্লকড হিসাবে স্থানান্তর করতে হবে এবং এ নীতিমালার শর্তানুযায়ী ঋণের সমুদয় অর্থ আদায়ের পর ব্লকড হিসাবে রক্ষিত অর্থ মওকুফ হিসেবে গণ্য হবে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং অনুবিভাগের নির্দেশনা পরিপালন করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ