1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৬ অপরাহ্ন

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ঝুঁকি আরও কমেছে

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৮ মে, ২০২২
  • ৩১ Time View

অব্যাহত টানা পতনের মধ্যে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। এ পতনের মধ্যে পড়ে প্রতিনিয়ত দর হারাচ্ছে ভালো-মন্দ সব ধরনের কোম্পানি। এতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি কমে এসেছে। এমনকি কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম অস্বাভাবিক কমে অবমূল্যায়িত অবস্থায় চলে গেছে।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি নির্ণয় করা হয় মূল্য আয় অনুপাত (পিই) দিয়ে। সাধারণত ১০-১৫ পিই-কে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকিমুক্ত ধরা হয়। আর কোনো কোম্পানির পিই ১০-এর নিচে চলে গেলে, ওই কোম্পানির শেয়ার দাম অবমূল্যায়িত বা বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ ধরা হয়।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত অনেক আগেই ১৫-এর নিচে নেমেছে। গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে তা কমে ১৪-এর নিচে চলে আসে। আর গেলো সপ্তাহে আরও কমে এখন ডিএসইর পিই সাড়ে ১৩-এর কাছাকাছি চলে এসেছে।

গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ২০ পয়েন্ট। আর এ এক সপ্তাহে সার্বিক মার্কেটের পিই কমেছে দশমিক ১৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৪ শতাংশ।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত সপ্তাহের লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৩ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট। আবার ব্যাংক, ওষুধ, বিবিধ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত এ চার খাতের পিই বাজারের সার্বিক পিই’র নিচে অবস্থান করছে।

সব থেকে কম পিই রয়েছে ব্যাংক খাতের। বর্তমানে এ খাতের পিই রয়েছে ৭ দশমিক ৬০ পয়েন্টে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭ দশমিক ৮০ পয়েন্টে। ১১ দশমিক ৪০ পিই নিয়ে এর পরের স্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এক সপ্তাহ আগে এ খাতের পিই ছিল ১১ দশমিক ৩০ পয়েন্ট।

ব্যাংক এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মতো সপ্তাহের ব্যবধানে বিবিধ খাতের পিইও কমেছে। ১১ দশমিক ৯০ পিই নিয়ে সর্বনিম্ন পিই’র তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে খাতটি। এক সপ্তাহ আগে এ খাতের পিই ছিল ১২ দশমিক ১০ পয়েন্ট। সার্বিক বাজারের তুলনায় কম পিই থাকা আর এক খাত ওষুধের পিই ১৩ দশমিক ৪০ পয়েন্ট, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৩ দশমিক ৫০ পয়েন্ট।

অন্যদিকে সব থেকে বেশি পিই রয়েছে জীবন বিমা খাতের। সার্বিক বাজারের পিই কমলেও গেলো সপ্তাহে এ খাতের পিই বেড়েছে। এতে বর্তমানে এ খাতের পিই দাঁড়িয়েছে ৬৪ দশমিক ৮০ পয়েন্টে। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ৬৩ দশমিক ৮০ পয়েন্ট।

সর্বোচ্চ পিই’র তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চামড়া খাত। এ খাতের পিই দাঁড়িয়েছে ৫২ দশমিক ৩০ পয়েন্ট, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫৩ দশমিক ৮০ পয়েন্ট। ২৮ দশমিক ১০ পয়েন্ট নিয়ে এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিরামিক খাত। এক সপ্তাহ আগে এ খাতের পিই ছিল ২৮ দশমিক ৭০ পয়েন্ট। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে এ খাতের পিইও কমেছে।

এছাড়া বাকি খাতগুলোর মধ্যে সাধারণ বিমা খাতের পিই ১৫ দশমিক ৩০ পয়েন্ট থেকে কমে ১৪ দশমিক ৪০ পয়েন্টে নেমে গেছে। প্রকৌশল খাতের পিই ১৯ দশমিক ৭০ পয়েন্ট থেকে কমে ১৯ দশমিক ৪০ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের পিই ২৫ দশমিক ২০ পয়েন্ট থেকে কমে ২৪ দশমিক ৯০ পয়েন্টে এবং আইটি খাতের পিই ২৬ দশমিক ১০ পয়েন্টে থেকে কমে ২৫ দশমিক ৪০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে পিই বাড়ার তালিকায় থাকা খাতগুলোর মধ্যে সেবা ও আবাসন খাতের পিই ১৫ দশমিক ৯০ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১৬ দশমিক ১০ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা লিজিং খাতের পিই ২২ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ২২ দশকি ৩০ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর খাদ্য খাতের পিই আগের মতো ২৪ পয়েন্টেই রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ