1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১১ অপরাহ্ন

আগামীকাল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭
  • ১৯ Time View

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ শুরু করার ঠিক আগ মুহূর্তে যখন বুঝতে পারে যুদ্ধে তাদের পরাজয় সময়ের ব্যাপার মাত্র, ঠিক তখনই এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠে তারা। পাকিস্তানি দোসর, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা এ দেশের শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে। আগামীকাল সেই দিন, ১৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার)। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দিনটি বাঙালি জাতির জীবনে একটি কলঙ্কের দিন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ’৭০-এর নির্বাচন হতে শুরু করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয় অর্জন পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করার জন্য এ দেশের কবি, সাহিত্যিক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, চিত্রশিল্পী, সঙ্গীত শিল্পী, চলচ্চিত্রকারসহ বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। বিশ্ববাসীসহ সারা বাংলার জনগণ মনে করে নিরস্ত্র বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আর বাংলাদেশ যাতে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে -সেই চিন্তা ধারায় বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়।

২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে পাকহানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতারের পর মুক্তিযুদ্ধের কার্যক্রম সুচারুরূপে পরিচালনা করার জন্য মুজিবনগর সরকার গঠন, বিভিন্ন এলাকাকে বিভিন্ন সেক্টরে ভাগ করে সেক্টর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব প্রদানসহ সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যক্তিদের দায়িত্ব প্রদান করে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিদের ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উজ্জীবিত করার জন্যও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।

বীর বাঙালির সাহস ও মেধার কাছে যখন একে একে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প, আস্তানা নিশ্চিহ্ন হতে লাগলো, একে একে পরাস্ত হয়ে যখন আত্মসমর্পন করতে লাগলো, তখনই বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে এদেশের রাজাকারদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বাংলাদেশকে চিরদিনের জন্য মেধা শূন্য দেশ হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী ঐ সকল রাজাকারদের বাঙালি জাতি কোনদিন ক্ষমা করবে না বা করতে পারে না। জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও সুদৃঢ় নেতৃত্বে ’৭১-এর স্বাধীনতা বিরোধী ও ১৪ ডিসেম্বরের কলঙ্কজনক বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী রাজাকারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রত্যয়ে প্রতি বছরের ন্যায় দিবসটি স্মরণে এ বছরও আওয়ামী লীগ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সূর্যোদয় ক্ষণে : দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী সংগঠনের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ। সকাল সোয়া ৭টায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন। সকাল পৌনে ৮টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন। সকাল সাড়ে ৮টায় রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ।  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির ন্যায় সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশের সকল শাখা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ