1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:১৯ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গা শরণার্থী আসা অব্যাহত থাকায় আরো মানবিক সহায়তা প্রয়োজন : আইওএম

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭
  • ৪০ Time View

আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বলেছে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রবেশ অব্যাহত থাকায় তাদের জন্য আরো মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। সংস্থাটি বলেছে, এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। মিয়ানমার ছেড়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসা অব্যাহত রয়েছে।
সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৯ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত আরো প্রায় ১৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আসা অব্যাহত থাকায় কক্সবাজারে জরুরী মানবিক সহায়তার চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় দশ লাখ শরণার্থীর মধ্যে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয়, খাদ্য, পানি, সেনিটেশন এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারি সামগ্রীর জন্য মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভর করছে।
মোহাম্মদ ইয়াকুব (৫০) নামের এক রোহিঙ্গা শরণার্থীর উদ্ধৃতি দেয়ে আইওএম বলেছে, বাংলাদেশে আসার জন্য মিয়ানমার সীমান্তে ৮ থেকে ৯ হাজার লোক এখনো অপেক্ষা করছে।
আইএসসিজিতে ত্রাণ সংস্থাগুলো এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলোতে বসবাসকারি রোহিঙ্গা এবং ঝুকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারি প্রায় ৩ লাখ বাংলাদেশীসহ ১২ লাখ লোকের জন্য ৬ মাসের মানবিক সহায়তার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ৪৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায্যের আহবান জানিয়েছে।
আইওএম বাংলাদেশ মিশন প্রধান শরৎ দাস বলেন, পরিস্থিতির ভয়াবহতা উড়িয়ে দেয়া যায় না। এ সব লোক পুষ্টিহীনতার শিকার হচ্ছে। তাদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি ও সেনিটেশন প্রয়োজন। তাদের জীবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তারা সংকটজনক অবস্থায় বসবাস করছে।
নতুন করে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জরুরী চিকিৎসা সহায়তার প্রয়োজন। আগামী ছয় মাসে সকল নতুন আশ্রয় কেন্দ্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার জন্য সংস্থাগুলো ৪৮ মিলিয়ন মাকির্ন ডলারের সহায়তার আবেদন জানিয়েছে।
আইওএম’র সিনিয়র আঞ্চলিক স্বাস্ত্য কমৃকর্তা প্যাট্রিক ডিগান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, স্বল্প স্থানে অতিরিক্ত লোক গাদাগাদি করে বসবাস করায় এবং বিশুদ্ধ খাবার পানি ও সেনিটেশনের অভাবে মারাত্মক রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। নতুন করে আসা শরণার্থীদের মধ্যে গর্ভবতী মহিলা ও শিশুর সংখ্যা অধিক। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুবিধার অভাব রয়েছে। ফলে মাতৃত্ব, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্যে ঝুঁকি রয়েছে।
আইওএম’র বিবৃতিতে বলা হয়, ২৫ আগস্টের পর থেকে আইএসসিজি ২ লাখ ১০ হাজারের অধিক সংখ্যক লোককে স্বাস্থ্য সেবা দিয়েছে। টেকনাফ ও উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ১২টি মেডিকেল দল নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৯টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সরকার সাহায্য সংস্থাগুলোর সহায়তায় ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সের প্রায় ৩৫ হাজার ৫শত শিশুকে এবং ৫ বছরের কম বয়সের ৭২ হাজার শিশুকে পোলিও ভ্যাকসিন টিকা দিয়েছে এবং ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাইয়েছে। এ ছাড়া গত সপ্তাহ থেকে কলেরা ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ