1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২১ অপরাহ্ন

২০২৪ সালের মধ্যেই দারিদ্র্য দূরীকরণে সাফল্য অর্জন করবে বাংলাদেশ : অর্থমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৭
  • ৪১ Time View

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যেই দারিদ্র্য দূরীকরণে সাফল্য অর্জন করবে।
অর্থমন্ত্রী নিউইয়র্কের মিলেনিয়াম হিলটনহোটেলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ‘টেকসই উন্নয়নের অভিমুখে : সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা থেকে শিক্ষা এবং এসডিজির পথনির্দেশ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে এ কথা বলেন। আজ এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়।
তিনি বলেন, এমডিজি গ্রহণ করার আগেই ১৯৯৯ সালে এর বাস্তবায়ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া এবং নিজেদের মতো করে লক্ষ্য স্থির করা হয়। দেশের নিজস্ব সম্পদ এবং যা কিছু উন্নয়ন সহযোগিতা পাওয়া যায় তা দিয়েই এমডিজি বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রবল ইচ্ছাশক্তির ফলে ২০১৫ সালের মধ্যে দেশ এমডিজি’র অধিকাংশ লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়।
আন্তর্জাতিক থিংঙ্ক ট্যাংক ‘দ্য ইনস্টিটিউট ফর পলিসি, অ্যাডভোকেসি এন্ড গভার্ননেন্স (আইপিএজি) এই সেমিনারের আয়োজন করে। এতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।
এমডিজি বাস্তবায়নের এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ কিভাবে এসডিজি অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে অর্থমন্ত্রী আন্তর্জাতিক এই সেমিনারে তা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এসডিজি খুবই আলাদা। বাংলাদেশের ভাল অভিজ্ঞতা রয়েছে যার ফলে লক্ষ্য নির্দিষ্ট করা এখন খুব সহজ। বাংলাদেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রতিশ্রুতি ও দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি। এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
উদ্বোধন সেশনে বক্তৃতা দেন ইউএনডিপি’র ব্যুরো অব পলিসি এন্ড প্রোগ্রাম সার্পোট এর সহকারী প্রশাসক ও পরিচালক এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মাগদি মার্টিজে সলিমান ।
টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সামগ্রিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনারক্ষেত্রে একটি নিরবচ্ছিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করতে পেরেছে। ফলে দেশটির অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে ৬ ভাগের ওপরে রয়েছে। মানব সম্পদের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পাবলিক সেক্টরে জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসকল পদক্ষেপের ফলে ১৯৯১ সালে যেখানে দারিদ্র্যের হার ৫৬ শতাংশ ছিল তা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়ে ২০১০ সালে ৩১ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।
তিনি সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ভিশন ২০২১’-এর সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন। তাছাড়া ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে আইসিটি ব্যবহার করে নারী ও শিশুস্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য তিনি বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ ডেলিগেশনের মধ্যে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সিনিয়র সচিব সামসুল আলম, অর্থ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ