সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দুই ঢাবি ছাত্রীর

সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দুই ঢাবি ছাত্রীর

গত ২৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিনেটে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিকালে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন দুই ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার ঢাবির যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের আহ্বায়ক প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমাদের কাছে এ অভিযোগ দিয়েছেন তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ জমা দিয়েছেন দুই ছাত্রী। এ বিষয়ে উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের অনুমতি পেলে তদন্ত করা হবে।

তিনি বলেন, অভিযোগকারীরা দুটি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেত্রী। পৃথক অভিযোগে উভয়ে উল্লেখ করেছেন, গত ২৯ জুলাই সিনেট অধিবেশনে শিক্ষার্থীদের কোনো প্রতিনিধি না থাকার প্রতিবাদে তারা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন করতে যান। সেখানে ফটকে তালা দিয়ে শিক্ষকরা আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ফটকের ভেতরে প্রবেশ করলে শিক্ষকেরা তাদের ধাক্কাধাক্কি করে ঘাড় ধরে বের করে দেন।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগপত্রে ছাত্রীদ্বয় আরও উল্লেখ করেছেন, এ সময় হঠাৎ সহকারী প্রক্টর ও চারুকলা অনুষদের সিরামিকস বিভাগের অধ্যাপক রবিউল ইসলাম এক ছাত্রীর গলা জড়িয়ে ধরেন। তাকে ছাড়াতে গেলে অন্য এক ছাত্রীর ওড়না ধরে টান দেন তিনি।

অধ্যাপক নাসরিন আহমাদ বলেন, ছাত্রীদের অভিযোগ, নারী শিক্ষার্থী হওয়ায় ওই শিক্ষক বিশেষ সুযোগ নিয়েছেন। অভিযোগপত্রে ওই শিক্ষককে যৌন নিপীড়নকারী হিসেবে সনাক্ত করে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

ক্যাম্পাস