1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন

লড়াই করেই হারল বাংলাদেশ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬
  • ১১৮ Time View

13টার্গেটটাই শেষ পর্যন্ত বড় হয়ে গেল টাইগারদের কাছে। যে উইকেটে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা রানের ফোয়ারা ছোটাল সেই উইকেটেই বিপদে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ।

হতে পারে এটা মাসের পর মাস দেশের বাইরে না খেলার মাশুল। কোটি টাকা ব্যায়ে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনিং ক্যাম্পের পরও হ্যাগলি ওভালের গতিময় বাউন্সি উইকেটে ছন্দ খুঁজে পেল না বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ফলে ৭৭ রানে ম্যাচ জিতে নিল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৩৪১ রানের পাহাড় টপকাতে গিয়ে মাত্র ২৬৪ রানেই শেষ হয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রাপ্তি বলতে সাকিব আল হাসানের পারফর্মেন্স। বল হাতে সর্বাধিক ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতেও হাফ সেঞ্চুরি করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। শেষ দিকে দারুণ ব্যাট করেন মুশফিকুর রহীম আর তরুণ মোসাদ্দেক হোসেন। মুশফিক রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরলেও ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মোসাদ্দেক।

আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করার তাড়া থাকলেও ধীর গতিতেই ইনিংস শুরু করে দুই ওপেনার তামিম-ইমরুল। ইংল্যান্ড সিরিজে ভালো করে নিউজিল্যান্ড সিরিজেও ইনিংস শুরুর দায়িত্ব পান ইমরুল। নিজের ফেস করা দ্বিতীয় বলে ক্যাচ দিয়েও টিম সাউদির কল্যাণে বেঁচে যান তিনি। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার না করে ২১ বলে ১৬ রান করে টিম সাউদির বলে রঞ্চির হাতে পরিস্কার ক্যাচ দিয়েও রিভিউ নেন ইমরুল। এই রিভিউটি নষ্ট না হওয়ার কোনো কারণ ছিল না।

এরপর সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেন ইংল্যান্ড সিরিজের পর দলে ফেরা সৌম্য সরকার।  তার ব্যাটিং দেখে মানে হচ্ছিল তিনি স্বচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না। অনুশীলন ম্যাচে তার সেই ব্যাটিং ঝলকের ছিঁটেফোটাও দেখা গেল না আজ। শুরু করলেন ধীর গতিতে। ৮ বলে মাত্র ১ রান করে জেমস নিশামের বলে উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

সৌম্যর পর ব্যাটিং করতে আসা নির্ভরতার প্রতীক বলে খ্যাত মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদও ব্যর্থ। কোনো রান না করেই নিশামের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। এরপর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন তামিম এব সাকিব আল হাসান। কিন্তু দুজনে মিলে ৩৩ রানের জুটি গড়তেই সেই নিশামের বলে অদ্ভুত এক শট খেলে ডিপ পয়েন্টে উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়েন তামিম (৩৮)। ৫০ বলে নিজের ক্যারিয়ারের ৩২তম ফিফটি তুলে নেন সাকিব। কিছু পরেই ৫৪ বলে ৫ চার এবং ২ ছক্কায় ৫৯ রান করে ফার্গুসনের বলে টিম সাউদির হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এর আগের বলেই একটি বিশাল ছক্কা হাঁকান তিনি। সুবিধা করতে পারেননি সাব্বির রহমানও। ১১ বলে ১৬ রান করে ফার্গুসনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।

এরপর তরুণ মোসাদ্দেক হোসেনকে লড়াই শুরু করেন ‘মি ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহীম। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যক্তিগত ৪২ রানে টিম সাউদির বলে চোট নিয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিককে। অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে জুটি বেঁধে তখন দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন মোসাদ্দেক। ১ বলে ১৪ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক। এরপরই ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন মোসাদ্দেক হোসেন।

এর আগে হ্যাগলি ওভালে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। টাইগার ক্যাপ্টেন মাশরাফি বলেন তিনি টসে জিতলে অবশ্য বোলিং বেছে নিতেন। কিন্তু টম ল্যাথামের সেঞ্চুরি আর মনরোর সেঞ্চুরির কাছাকাছি ইনিংসে ভর করে ৩৪১ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের বোলাররা তাদের ৭ উইকেট নিতে সক্ষম হন।

কিউইদের দলীয় ৩৩ রানে প্রথম আঘাত হেনে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। তার শিকার হয়ে ফিরে যান বিপজ্জনক মার্টিন গাপটিল (১৫)। এরপর ল্যাথাম এবং অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৪৮ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন। ব্যক্তিগত ৩১ রানে তাসকিন আহমেদের বলে মুশফিকুর রহীমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন উইলিয়ামসন। কিন্তু নিজের ইনিংসকে এগিয়ে নিতে থাকেন টম ল্যাথাম। নেইল ব্রুমের সঙ্গে তিনি ৫৫ রানের জুটি গড়েন। এই জুটি ভেঙে নিজের উইকেট শিকারের খাতা খোলেন সাকিব আল হাসান। নেইল ব্রুমকে (২২) তিনি এলবিডাব্লিউ করে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। এরপর তার দ্বিতীয় শিকার হন জেমস নিশাম।

এর মধ্যেই ৫৬ বলে ৫০ রান পূরণ করেন টম ল্যাথাম। কলিন মুনরোর সঙ্গে তার ১৫৮ রানের জুটিটাই মূলত কিউইদের ম্যাচে ফেরায়। ১০০ বল খেলেই তিন অংকে পৌঁছান ল্যাথাম। সেঞ্চুরি পূরণ করার পর অনুমিতভাবেই হাত খুলে মারতে থাকেন তিনি। এই বিপজ্জনক জুটি ভাঙেন সাকিব। তার বলে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৬১ বলে ৮ চার এবং ৪ ছক্কায় ৮৭ রান করা মুনরো তাসকিন আহমেদের হাতে ধরা পড়েন। এরপর ল্যাথামকে বোকা বানিয়ে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত করেন কাটার মাস্টার। কিন্তু ততক্ষণে যা সর্বনাশ হওয়ার হয়ে গেছে। কারণ ৪৭.৩ ওভারে ৬ উইকেটে নিউজিল্যান্ডের রান তখন ৩২৩।

১২১ বলে ১৩৭ রানের দারুণ ইনিংসটিতে ৭টি চার এবং ৪টি ছক্কা হাঁকান ল্যাথাম। এরপর আর মাত্র ১টি উইকেটই শিকার করতে পেরেছে টাইগার বোলাররা। লুক রঞ্চিকে (৫) সরাসরি বোল্ড করে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। সাকিব ৩ উইকেট এবং মুস্তাফিজ-তাসকিন ২ উইকেট করে নিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ