গতকাল বুধবার ইতালির জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম রাইকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সিরিয়ার
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ জঙ্গি গ্রুপ আইএস সৃষ্টির জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করে বলেছেন, তার দেশ ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর প্রজননক্ষেত্র নয়। আসাদ বলেন, ‘আমি আপনাদের নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি যে সিরিয়ার ভেতর দায়েশ (আইএস)-এর কোন প্রাকৃতিক ও সামাজিক প্রজননকেন্দ্র নেই।’ তিনি বলেন, ‘তুরস্ক, সৌদি আরব ও কাতারের সহায়তা এবং অবশ্যই বিভিন্ন পথে সন্ত্রাসীদের সহায়তার পশ্চিমা নীতির কারণেই জিহাদীরা প্যারিস হত্যাযজ্ঞসহ অন্যান্য হামলা চালাতে সিরিয়ায় প্রশিক্ষণ নিতে পেরেছে।’
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘আইএস-এর জন্ম সিরিয়ায় নয়, ইরাকে হয়েছিল।’
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ইরাক যুদ্ধ আইএসআইএস সৃষ্টিতে সহায়ক হয়েছে।’
আসাদ আরো বলেন, ‘ব্লেয়ারের এই স্বীকারোক্তিই আমার বক্তব্যের স্বপক্ষে সবচেয়ে বড় প্রমাণ।’
গত সপ্তাহে প্যারিসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ অবসানে কূটনৈতিক সমাধানের বিষয়টি জোরদার হয়েছে। এই হামলার কারণে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ কূটনৈতিক উপায়ে মীমাংসার প্রয়োজনীয়তা গুরুত্ব পেয়েছে।
তবে আসাদ বলেছেন, সিরিয়ার একটি অংশ বিদ্রোহীদের কবলে থাকায় নির্বাচন সম্ভব নয়।
আসাদ আরো বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদকে পরাস্ত করার পরই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। সিরিয়ার একটি বড় অংশ সন্ত্রাসীদের কবলে রেখে আপনি রাজনৈতিকভাবে কোন কিছু অর্জন আশা করতে পারেন না।’
সিরিয়ায় আইএস আগ্রাসনের পর ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি লোক বাসস্থান ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছে। জিহাদী গোষ্ঠিটি সিরিয়া ও ইরাকের একটি বড় অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ওই অংশগুলোতে কঠোর শরিয়া আইন চালু করেছে আইএস।
আসাদ আরো বলেন, ‘যদি আমরা সিরিয়াকে পুনরায় সন্ত্রাসীদের কবল থেকে মুক্ত করতে পারি, তারপরও শাসন ক্ষমতায় যে কোন ধরনের পরিবর্তনের জন্য দেড় থেকে দুই বছর লেগে যেতে পারে।’