মানবতাবিরোধী অপরাধে দ-প্রাপ্ত আপিলে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ
মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল রাখার প্রতিবাদে ডাকা দেশব্যাপী বৃহস্পতিবারের হরতাল ঢিলেঢালাভাবে চলছে। রাজধানীতে কার্যত হরতালের কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। অন্যান্য দিনের মতোই ভোর থেকে কাজে বের হয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। রাস্তায় নেমেছে বিপুলসংখ্যক গণপরিবহনও। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় হরতাল শুরুর পর রাজধানীর কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এমনকি কর্মসূচির সমর্থনে কোনো মিছিল কিংবা পিকেটিং করতেও দেখা যায়নি জামায়াত-শিবির কর্মীদের।
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করে দেখা গেছে, জামায়াতের হরতালকে উপেক্ষা করে নিজ নিজ কাজে যোগ দিচ্ছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। চালু রয়েছে কলকারখানাসহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালত।
এর আগে আপিল বিভাগে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের রিভিউ খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার প্রতিবাদে এ হরতাল আহ্বান করে দলটি। জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ এক বিবৃতিতে এ হরতালের ডাক দেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য সরকার নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করেছে। সরকারি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ।
তিনি আরও বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করে। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীও নেই। রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে আদেশে। রায়ে মুজাহিদ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।