1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেয়েদের আলাদা শৌচাগার হয়নি

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৫
  • ১৪৩ Time View

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে এখনো অধিকাংশ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেয়েদের জন্য আলাদা শৌচাগার না হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় গত ২৩ জুন এক পরিপত্র জারি করে এ নির্দেশ দিয়েছিল।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ওয়াশ অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন আয়োজিত সেমিনারে এ উদ্বেগ জানানো হয়। মাঠপর্যায়ে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনের আটটি অংশীদার সংগঠনের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে আলোচকেরা বলেন, ২০১৪ সালের একটি জরিপ অনুযায়ী, ১৮৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য একটি শৌচাগার আছে। কিন্তু এর ৪৫ শতাংশ নানা কারণে বন্ধ থাকে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করলেও মাঠপর্যায়ে এখনো সে রকম পরিবর্তন আসতে শুরু করেনি। এটা বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জোয়েনা আজিজ বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের সঙ্গে নিরাপদ পানি, পয়োনিষ্কাশন পরিস্থিতির উন্নতি নিবিড়ভাবে জড়িত। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী খালেদা আহসান বলেন, দেশের ১৩ শতাংশ মানুষ এখনো নিরাপদ পানি পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছেন। দুর্গম ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোতে নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশন-ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
সেমিনারে ওয়াশ অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের আটটি অংশীদার সংগঠন সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে। নারীদের ফুটবল খেলা আয়োজন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্যানিটারি শৌচাগার আছে কি না খোঁজ নেওয়া, স্যানিটেশন সামগ্রী বিক্রি করতে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ইত্যাদি নানাভাবে সংগঠনগুলো জনগণকে সচেতন করার ক্ষেত্রে সফলতা পেয়েছে বলে জানানো হয়। বাণিজ্যিকভাবে মনুষ্য বর্জ্য থেকে মিশ্রসার তৈরি করার ব্যাপারেও সেমিনারে আলোচনা হয়। আলোচকেরা বলেন, বাণিজ্যিকভাবে এমন মিশ্রসার তৈরির আগে আরও গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতি, সরকারের সারে দেওয়া ভর্তুকির বিষয় মাথায় রাখলে মনুষ্য বর্জ্য থেকে তৈরি সার ভালো বিকল্প হতে পারে। ওয়াটার এইড বাংলাদেশের দেশীয় প্রতিনিধি খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের ফার্স্ট সেক্রেটারি কার্ল ডি গ্রুট, ওয়াশ অ্যালায়েন্সের কান্ট্রি লিড সারা আহরারি প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ