1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

গ্রিনল্যান্ড বিষয়ক বিশেষ দূত নিয়োগ ট্রাম্পের, ডেনমার্কের ক্ষোভ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৬ Time View

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জেফ ল্যান্ড্রিকে গ্রিনল্যান্ডের জন্য নিজের বিশেষ দূত হিসেবে মনোনীত করেছেন। এর ফলে খনিজসম্পদসমৃদ্ধ এই বিশাল আর্কটিক দ্বীপটি নিয়ে ওয়াশিংটনের পরিকল্পনা ঘিরে ডেনমার্ক ও গ্রিনল্যান্ডে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

ডেনমার্কের অধীন হলেও বর্তমানে ব্যাপকভাবে স্বশাসিত গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করা উচিত—নিরাপত্তা ও দ্বীপটির খনিজসম্পদের স্বার্থে—এমন কথা ট্রাম্প বহুবার বলেছেন। ল্যান্ড্রিও এই ধারণার প্রশংসা করেছেন।

ডেনিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন সোমবার জানান, তিনি কোপেনহেগেনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করবেন। তিনি বলেন, গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার ট্রাম্পের লক্ষ্যকে ল্যান্ড্রির সমর্থন দেওয়ায় তিনি বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ। গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীও পুনর্ব্যক্ত করেছেন, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ তারাই নির্ধারণ করবেন।

ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে রবিবার ট্রাম্প লেখেন, ‘জেফ বুঝতে পারেন গ্রিনল্যান্ড আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের মিত্রদের—এবং প্রকৃতপক্ষে সারা বিশ্বের—নিরাপত্তা ও অস্তিত্ব রক্ষায় তিনি আমাদের দেশের স্বার্থ জোরালোভাবে এগিয়ে নেবেন।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দেয়নি।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে লুইজিয়ানার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া ল্যান্ড্রি এক্সে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার এই স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্বে কাজ করতে পারা আমার জন্য সম্মানের… এতে লুইজিয়ানার গভর্নর হিসেবে আমার অবস্থানে কোনো প্রভাব পড়বে না!’
গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক বরাবরই এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

ডেনমার্কের টিভি চ্যানেল টিভি ২-কে রাসমুসেন বলেন, ‘বিশেষ দূত নিয়োগের এই সিদ্ধান্তে আমি গভীরভাবে ক্ষুব্ধ। আর তার বক্তব্যে আমি বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ, যা আমরা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করি।

এর আগে রয়টার্সকে ই-মেইলে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা জোর দিয়ে বলছি, যুক্তরাষ্ট্রসহ সবাইকে ডেনমার্ক রাজ্যের ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।’

গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেন্স-ফ্রেডেরিক নিলসেন ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ‘আমরা আবারও মার্কিন প্রেসিডেন্টের নতুন একটি ঘোষণা নিয়ে ঘুম থেকে উঠলাম। এটি বড় মনে হতে পারে, কিন্তু আমাদের জন্য এতে কিছুই বদলায় না। আমরা নিজেরাই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করি।’

ডেনিশ পার্লামেন্টে গ্রিনল্যান্ডের প্রতিনিধি আজা কেমনিৎস বলেন, একজন মার্কিন দূত নিয়োগ করাই নিজে কোনো সমস্যা নয়।

তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘সমস্যা হলো তাকে গ্রিনল্যান্ড দখল করা বা গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে—এমন কোনো ইচ্ছাই গ্রিনল্যান্ডে নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘গ্রিনল্যান্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের যে ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষা—নিজেদের দেশ হিসেবে থাকা এবং ধীরে ধীরে স্বাধীনতা বিকাশ—তা সম্মান করার ইচ্ছাই এখানে রয়েছে।’

গত এক বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো মিত্র ডেনমার্ক গ্রিনল্যান্ডের প্রতিরক্ষা জোরদারে মনোযোগ দিয়েছে, কারণ নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা ছিল।

প্রায় ৫৭ হাজার জনসংখ্যার গ্রিনল্যান্ড একটি সাবেক ডেনিশ উপনিবেশ। ২০০৯ সাল থেকে ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা ঘোষণার অধিকার রয়েছে তাদের। দ্বীপটির অর্থনীতি মূলত মাছ ধরার ওপর এবং কোপেনহেগেনের ভর্তুকির ওপর নির্ভরশীল। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার মধ্যে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত পথের ওপর অবস্থিত হওয়ায় গ্রিনল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ