দক্ষিণ আফ্রিকা সফররত বাংলাদেশ ‘এ’ দল দেশটির আইরিন ভিলেজার্স ক্লাবের কাছে প্রস্তুতি
ম্যাচে ৪ উইকেটে হেরেছে। সোমবার রাতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৭২ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৩ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটের জয় পায় আইরিন ভিলেজার্স।
অচেনা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বল হাতে দূত্যি ছড়িয়েছিলেন পেসার আল-আমিন হোসেন। প্রতিপক্ষের ছয় উইকেট তুলে নিতে সক্ষম হয় বাংলাদেশের বোলাররা। পেসার আল-আমিন একাই নেন পাঁচ উইকেট। আইরিন ভিলেজের ইনিংসের ১০ ওভারের মধ্যেই চার উইকেট তুলে নেন ডানহাতি এই পেসার। এক সময়ে স্বাগতিক দলের স্কোরকার্ড ছিল এ রকম ২৭-৪। কিন্তু মিডল অর্ডারে অধিনায়ক নাইডু ও মুনসামির ১৩৮ রানের জুটিতে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এই জুটিও ভাঙেন আলি-আমিন। ৬৫ রান করা নাইডুকে ফিরিয়ে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন। সফরকারীদের হয়ে অপর একটি উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।
শেষ দিকে জয়ের জন্যে ৬৬ রান প্রয়োজন ছিল আইরিন ভিলেজার্সের। কাবের ও সিনাম অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। কাবের ৪৪ ও সিনাম ৪০ রান করেন।
বোলারদের খারাপ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার দলটি ২২ রান অতিরিক্ত পেয়েছে। বোলাররা ১৯টি ওয়াইড বল করেছেন। বাই থেকে এসেছে বাকি রান।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে রনি তালুকদারের ৬৮, মাহমুদুল হাসানের ৪৩, লিটন কুমার দাসের ৩৯, সাদমান ইসলামের ৩৮ ও মিথুন আলীর ৩৩ রানে লড়াকু সংগ্রহ পায় শুভাগত হোমের দল। জাতীয় দলের দুই তারকা সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান ছিলেন নিষ্প্রভ। সাব্বির রহমান রানের খাতা খুলতে পারেননি। সৌম্য সরকার ৮ ও শুভাগত হোম করেন ৯ রান করেন। ফর্মে থাকা মোসাদ্দেক হতাশ করেন। মাত্র ১৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
একই মাঠে আইরিন ভিলেজার্সের বিপক্ষে ২১ অক্টোবর তিন দিনের ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এরপর ২৭ অক্টোবর আইরিন ভিলেজার্স ও ২৯ অক্টোবর গুয়েটিং স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে আরও দুটি ওয়ানডে খেলবে শুভাগত হোমের দল।