সোহরাওয়ার্দী শুভর সেঞ্চুরি ঠেকাতে পারেনি রংপুরের পরাজয়। বগুড়ায় তার প্রতিরোধ
সত্ত্বেও রংপুরকে ৮ উইকেটে পরাজিত করেছে ঢাকা বিভাগ। সোহরাওয়ার্দী শুভর চেষ্টা ব্যর্থ হলেও মিরপুরে অবশ্য মার্শাল আইয়ুবের জোড়া সেঞ্চুরি হারের লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছে ঢাকা মেট্রোকে। ইনিংস হারের শঙ্কা কাটিয়ে ওয়ালটন এলইডি টিভি ১৭তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম স্তরের ম্যাচে শক্তিশালী খুলনার বিপক্ষে ড্র করেছে ঢাকা মেট্রো।
বগুড়ায় ফলো অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা রংপুরকে মঙ্গলবার ম্যাচের শেষ দিনে একাই টেনেছেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। তিনি সেঞ্চুরি করেছেন। তবে আর কেউ ত্রিশের কোটাই পার হতে পারেননি। সোহরাওয়ার্দী শুভ ১২১ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন। তার সেঞ্চুরিতে রংপুর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫ রান করে। জয়ের জন্য ঢাকার টার্গেট দাঁড়ায় ৫৫ রান। শেষ বিকেলে রনি তালুকদার, মাইশুকুরের উইকেট হারালেও ২ উইকেটে ৫৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ঢাকা বিভাগ। শুভাগত হোম অপরাজিত ৪০ রান করেন। ঢাকার মোশাররফ হোসেন ম্যাচ সেরা হন।
মিরপুরে ফলো-অনে পড়ে মঙ্গলবার ম্যাচের শেষ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা ঢাকা মেট্রো আবারও বিপর্যয়ে পড়ে। ৩৫ রানে হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। ইনিংস হারই তখন চোখ রাঙাচ্ছিল ঢাকা মেট্রোকে। প্রথম ইনিংসের মতোই আসিফ আহমেদকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মার্শাল আইয়ুব। ১৪৩ রানের জুটি গড়েন তারা পঞ্চম উইকেটে। আসিফ ৭০ রান করে আউট হলেও মার্শাল একপ্রান্ত আগলে ছিলেন। দিনের বাকি সময়টুকু মেহরাব জুনিয়রকে নিয়ে কাটিয়ে দেন মার্শাল। শেষ পর্যন্ত ড্র মেনে নেয় খুলনা।
প্রথম ইনিংসে ১০৭ রান করা মার্শাল এবার অপরাজিত ছিলেন ২১৬ বলে ১১৫ রান (১১ চার, ১ ছয়) করে। জাতীয় লিগে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ম্যাচ সেরাও হন দলের মান বাঁচানো মার্শাল। জাতীয় লিগে এর আগে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, শাহিন হোসেন, জাভেদ উমর বেলিম, মোহাম্মদ মিঠুন, তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস ম্যাচের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন।