ক্রিকেট বিশ্বের ধরাণাই সত্যি হলো অর্থাৎ সদ্যপ্রয়াত জগমোহন ডালমিয়ার উত্তসুরি হলেন শশাঙ্ক মনোহর। দ্বিতীয়বারের মত দ্য বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সভাপতি নির্বাচিত হলেন ৫৮ বছর বয়সী এ ক্রিকেটপ্রেমী। আজ রবিবার মুম্বাইয়ে বোর্ডের সাধারণ সভায় বিসিসিআই নয়া সভাপতি হিসেবে মনোহারকে নির্বাচিত করা হয়। বিসিসিআইর অফিসিয়াল টুইটারে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মনোহর। চলতি বছরের মার্চে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিসিসিআইর সভাপতি পদ থেকে সড়ে দাঁড়ান বির্তকিত এন শ্রীনিবাসন। ফলে তৃতীয়বারের মত বিসিসিআইর সভাপতি হন ডালমিয়া। কিন্তু গত মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ডালমিয়া। ফলে বিসিসিআইর প্রধানের চেয়ারটি ফাঁকা হয়ে যায়।
প্রত্যাশা অনুযায়ীই গুরুত্বপূর্ণ এ জায়গাটিতে মনোহরকে বসিয়েছে বিসিসিআই। তবে এজন্য খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি তাদের। কারন বিসিসিআইর সভাপতি পদের জন্য প্রার্থী ছিলেন একমাত্র মনোহরই। তাই বোর্ডের সভায় উপস্থিত ছয়জন প্রতিনিধিই বিসিসিআইর নয়া সভাপতি হিসেবে মনোহরকেই নির্বাচিত করেন। এজন্য মাত্র ৩০ মিনিট সময় ব্যয় হয়েছে।
২০১৭ সাল পর্যন্ত বিসিসিআইর সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন পেশায় আইনজীবী মনোহর। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বিসিসিআইর সভাপতি ছিলেন তিনি। দায়িত্ব নেয়ার আগেই ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন সূচনা করার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন মনোহর। ভারতের একটি সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভারতীয় ক্রিকেট হলো নির্ভুল ও দুর্নীতিমুক্ত। নতুনত্ব এনে স্বচ্ছভাবে চলবে ভারতীয় ক্রিকেট। দু’মাসের মধ্যে দেশের ক্রিকেটের চেহারা পাল্টে দেব। দেশে ক্রিকেটে অনেক পরিবর্তন আনবো আমি। বেহিসেবি খরচ বন্ধ করতে হবে। যা কিছু হবে বোর্ডের নিদের্শ মতো হতে হবে। এসবে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।
ওই সাক্ষাৎকারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নিয়ে নিজের লক্ষ্যটাও স্পষ্ট করেছেন মনোহর। তিনি বলেন, পুরনো জায়গায় বোর্ডকে ফিরিয়ে আনা। যেসময় বোর্ডের কোন দুর্নাম ছিলো না। স্বার্থের সংঘাত ঘিরে যে তর্ক উঠেছে তা বন্ধ করে দেয়া। শুদ্ধিকরণের প্রথম ধাপ সেটাই। আমি চাই আমাকে দিয়েই সেটা শুরু হোক। আমার ছেলে অদ্বৈত মনোহর ক্রিকেট বোর্ডের যে দু’টি কমিটিতে আছে, দু’টি থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া। বিসিসিআইর সভাপতি নির্বাচনের সভা শুরুর আগে সদ্য প্রয়াত সভাপতি ডালমিয়ারকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এক মিনিট নীরাবতা পালন করা হয়।