পিয়েতর চেকের অনুপস্থিতিতেও সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ ডেভিড অসপিনা৷ বরং তার ভুলেই
ডুবল আর্সেনাল৷ গতকাল মঙ্গলবার ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অলিম্পিয়াকোসের কাছে ২-৩ গোলে হার হজম করল আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল৷
টানটান উত্তেজনার ম্যাচে শেষ পর্যন্ত মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়ে আর্সেনাল৷অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে অপ্রত্যাশিত ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রিসে ফিরছে অলিম্পিয়াকোস৷ প্রিমিয়র লিগে শুরুটা ভালো করলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা ২ ম্যাচ হেরে গ্রুপ-এফের তলায় আর্সেনাল৷ অলিম্পিয়াকোসের হয়ে গোল ২ টি করেন পার্ডো ও ফিনবোগাসন৷ অপরটি গোলটি অসপিনার আত্মঘাতী৷ আর্সেনালের হয়ে গোল ২ টি করেন ওয়ালকট ও সাঞ্চেস৷
দিনামো জাগরেবের বিপক্ষে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করা আর্সেনাল এদিন প্রথম থেকেই সতর্ক ছিল। নিজেদের রক্ষণ সামলে আক্রমণে উঠছিল সাঞ্জেসরা। মাঝমাঠ থেকে গুছিয়ে আক্রমণে উঠতে থাকা আর্সেনাল ১০ মিনিটের মাথায় ১ম সুযোগ পায়। প্রতি আক্রমণে সাঞ্চেসের লম্বা পাস ধরে চেম্বারলেইন ডি বক্সে ঢুকে পড়লেও শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩৩তম মিনিটে পার্ডোর গোলে এগিয়ে যায় অলিম্পিয়াকোস। এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি গ্রিসের দলটির। ২ মিনিট পরই সাঞ্চেস ওয়ালকটের দারুণ বোঝাপড়ায় সমতায় ফেরে আর্সেনাল। ৩৫ মিনিটে আর্সেনালের হয়ে ১ম গোলটি করেন ওয়ালকট৷চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৮ ম্যাচ পর গোল পেলেন তিনি৷ যা সময়ের হিসেবে প্রায় ৫ বছর পর। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে বেলগ্রেডের বিপক্ষে আগের গোলটি করেছিলেন ওয়ালকট।
৫ মিনিট পর ম্যাচে আবার নাটকীয় পরিস্থিতি! আর্সেনাল গোলরক্ষকের চরম ভুলে ফের এগিয়ে যায় অতিথিরা। বাঁ-দিক থেকে ফরটৌনিসের নেওয়া বাঁকানো কর্নার গোলরক্ষক অসপিনা লাফিয়ে উঠে ধরে ফেললেও বুঝতে না-পেরে, বল নিয়ে ভিতরে ঢুকে যায় অসপিনা। পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নামা আর্সেনাল গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। একের পর এক আক্রমণে যায় রেড ডেভিলস। অবশেষে ৬৫ মিনিটে সাঞ্চেসের গোলে সমতায় ফেরে ওয়েঙ্গারের দল৷ আর্সেনালের সমতায় ফেরার স্বস্তি অবশ্য এক মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়নি। বদলি হিসেবে নামা আইসল্যান্ডের স্ট্রাইকার ফিনবোগাসনের ডি বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়া আলতো শটে ৩য় বারের মতো এগিয়ে যায় অলিম্পিয়াকোস। ফিনবোগাসনের গোলেই লন্ডন থেকে মূল্যবান তিন পয়েন্ট তুলে নেয় গ্রিসের দলটি৷