মাদকগ্রহণকারীরা আত্মহত্যা প্রবণতায় উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে আছে। এর কারণ নিয়ন্ত্রণ বর্হিভূত মাদকগ্রহণ সংশ্লিষ্ট সংকট, বিষন্নতা, অতিমাত্রায় মাদক গ্রহণের কারণে সিদ্ধান্তহীনতা বা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারা, চিকিৎসার পরেও মাদকমুক্ত থাকতে ব্যর্থ হওয়া, পরিবারের
অসযোগিতা ও সন্দেহ এবং মাদকাসক্তির কারণে অন্যান্য মানসিক সমস্যা।
বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আহছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা একথা বলেন।
ধানমন্ডির আহছানিয়া মিশন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলম, উপ-পরিচালক ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মাদকাসক্ত পরামর্শক ইকবাল মাসুদ, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আখতারুজ্জামান সেলিম ও নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রর কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস।
বক্তারা আরো বলেন বাংলাদেশে ইয়াবার সহজলভ্যতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া তরুণ-তরুণীরা বেশি করে ইয়াবায় আসক্ত। আহছানিয়া মিশন মাদকাশক্তি ও চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা ৬৮ জন নারী মাদকসক্তের ১৮ জন কখনো না কখনো আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। ছেলে মাদকসক্তদের ১০ শতাংশও চেষ্টা করেছে আত্মহত্যার। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ভিক্তিক এক পরিসংখ্যান অনুসারে, সাধারণ জনগনের তুলনায় এ্যালকোহল ব্যবহারকারীরা ১০ গুন বেশি আত্মহত্যার ঝুঁকির মধ্যে এবং যারা শিরায় নেশা গ্রহণ করে তারা ১৪ গুন বেশি আত্মহত্যার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
আহছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রর কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস তার মূল বক্তব্যে বলেন বাংলাদেশে ৬৫ লাখ মানুষ আত্মহত্যার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আত্মহত্যা প্রবণতার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে ১০ম স্থানে অবস্থানে রয়েছে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা দাবী করছেন, ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে যুবক-যুবতিদের মধ্যেই আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদক গ্রহন বৃদ্ধি পাওয়া, অর্থনৈতিক মন্দা, পারিবারিক কলহ, নির্যাতন, ভালবাসায় ব্যর্থতা, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া, বেকারত্ব, যৌন নির্যাতন, অপ্রত্যাশিত গর্ভ-ধারন ইত্যাদি কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে।