এলিট প্লেয়ার্স কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ২৭ জন ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজের জন্য টেস্ট দল ঘোষণার পর অবশিষ্ট ক্রিকেটার নিয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দল গঠনের চিন্তা ছিল নির্বাচকদের। ‘এ’ দলে ঠাঁই পাওয়ার কথা ছিল এইচপি’ তে থাকা কিছু ক্রিকেটারেরও। মূলত অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের সফরেই যাওয়ার কথা ‘এ’ দলের।
কিন্তু হঠাৎ করেই দুদিন আগে আকস্মিক উপহার হয়ে আসলো ‘এ’ দলের ভারত সফর। ১৩ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ রোববার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শক্তিশালী ‘এ’ দলই পাঠানো হবে ভারত সফরে। ১৫ জনের একটা দলও তারা তৈরি করে বোর্ডে জমা দিয়েছেন। জাতীয় দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ঢাকায় নেই বলে দলটা ঘোষণা করা হয়নি আজ।
রোববার রাতেই ঢাকায় আসার কথা হাথুরুসিংহের। কোচের সঙ্গে আলাপ শেষেই ‘এ’ দল ঘোষণা করা হবে।
প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ বলেন, “আমরা একটা ‘এ’ দল তৈরি করে বোর্ডের কাছে জমা দিয়েছি। কোচের সাথে আলোচনা করতে পারিনি। এই দলটা আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ের জন্য চিন্তা করছিলাম। এর মধ্যে ভারত সফরেও যেতে হবে, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ওই সফরে যেতে হবে। সফরটা বাংলাদেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
শক্তিশালী ‘এ’ দল গঠন করা হবে জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, “অন্যান্য দেশের ‘এ’ দলগুলো তাদের জাতীয় দলের মতোই প্রায়। আমরাও শক্তিশালী ‘এ’ দল করতে চেয়েছি। আমরা যে দলগুলোর সাথে সামনের সিরিজগুলো খেলবো, সেই দলগুলো ওই দেশের জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা থাকবে। সে দিকে চিন্তা করে আমাদের দলটাকেও আমরা শক্তিশালী করতে চেয়েছি।”
ভারত সফরে ‘এ’ দল তিনটি ওয়ানডে ও দুটি তিন দিনের ম্যাচ খেলবে। ১৫ জনের দলে তাই ওয়ানডে ও লংগার ভার্সন ম্যাচ খেলার মতো ক্রিকেটারই রাখা হয়েছে। দলটা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, “কিছুদিন পর অস্ট্রেলিয়া খেলতে আসবে। সৌম্য- নাসির- সাব্বির দীর্ঘ পরিসরের বেশি ম্যাচ খেলেনি। রনি তালুকদারকে ওয়ানডেতে চেষ্টা করেছি। বিজয় দলে ফেরার চেষ্টা করছে। এদেরকে নিয়ে আমাদের ভাবনা আছে। আমরা যে দলটি তৈরি করেছে, সেটা নানা বিষয় মাথায় রেখে তৈরি করেছি।”
গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজে ‘এ’ দলের সফরে নতুন চমক হিসেবে ছিলেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। যিনি এখন জাতীয় দলের বড় ভরসা। এবারও জাতীয় দলে খেলেননি এমন ২-১ জনকে সুযোগ দেয়া হয়েছে ভারত সফরের ‘এ’ দলে।
দলের প্রতি প্রধান নির্বাচকের প্রত্যাশা এমন, “ ‘এ’ দলের সামনের সফরগুলোতে আমাদের লক্ষ্য থাকবে ভালো ক্রিকেট খেলা। জয়ের চেয়েও এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দুই একটা ম্যাচ জয়ের চেয়ে দীর্ঘ মেয়াদে ভালো ক্রিকেট খেলাটা বেশি প্রয়োজন।”