সহজ জয় দিয়ে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম ইউএস ওপেন টেনিসে পুরুষ এককের চতুর্থ রাউন্ডে উঠেছেন দ্বিতীয় বাছাই সুইজারল্যান্ডের রজার ফেদেরার ও তৃতীয় বাছাই গ্রেট ব্রিটেনের এন্ডি মারে।
চতুর্থ রাউন্ডের টিকিট কেটেছেন পঞ্চম বাছাই সুইজারল্যান্ডের স্তানিসলাস ওয়ারিঙ্কা ও ষষ্ঠ বাছাই চেক প্রজাতন্ত্রের টমাস বার্ডিচ। তবে বেশ ঘাম ঝড়িয়েছে চতুর্থ রাউন্ডে উঠতে হয়েছে ওয়ারিঙ্কা ও বার্ডিচকে।
১৭টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক ফেদেরার। তবে প্রায় সাত বছর হয়ে গেলো গ্র্যান্ড স্ল্যামের শিরোপার স্বাদ পাননি ফেদেরার। সর্বশেষ ২০০৮ সালে এই ইউএস ওপেনের শিরোপা ঘরে তুলেছিলেন তিনি। তাই গ্র্যান্ড স্ল্যামের শিরোপার মধুর স্বাদ আবারো নিতে অস্থির হয়ে উঠেছেন ফেদেরার। সেই লক্ষ্যের পথে ভালোভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। চতুর্থ রাউন্ডের নিজের নাম লিখিয়েছেন ফেদেরার।
তৃতীয় রাউন্ডে ফেদেরার প্রতিপক্ষ হিসেবে কোর্টে নেমেছিলেন ২৯তম বাছাই জার্মানির ফিলিপ কোলচেইবার ২৬ মিনিটের ব্যবধানে প্রথম সেট ৬-৩ গেমে জিতে নেন ফেদেরার। পরের সেটেও দুর্দান্ত টেনিস খেলেছেন তিনি। ৩৩ মিনিটের ব্যবধানে ৬-৪ গেমে দ্বিতীয় সেট জিতে ম্যাচে ডাবল লিড নেন ফেদেরার। তাতে আত্মবিশ্বাসের মাত্রাটা অনেকখানিই বেড়ে যায় সুইস তারকার। ফলে তৃতীয় সেটও ৬-৪ গেমে জিতেন ফেদেরার। এ সেটে সময় ব্যয় হয়েছে ৩৪ মিনিট।
ম্যাচ জয়ের পর ফেদেরার বলেন, ‘দারুণ এক ম্যাচ জিতলাম আজ। সার্ভগুলো দারুণ হয়েছে আমার। ফলে প্রতিপক্ষ ব্যাকফুটে চলে যায়। তাতেই ম্যাচ জয় সহজ হয়েছে আমার।’
সরাসরি সেটে ম্যাচ জিতে চতুর্থ রাউন্ডে উঠেছেন মারেও। ৩০তম বাছাই ব্রাজিলের থমাজ বেলুচ্চিকে প্রথম সেটে হারাতে ৫০ মিনিট সময় নেন মারে। ৬-৩ গেমে ঐ সেট জিতেন তিনি। পরের সেট আরও সহজে জিতে নেন মারে। মাত্র ৩৪ মিনিট সময় ব্যয় করে ৬-২ গেমে দ্বিতীয় সেট জিতেন মারে। অবশ্য তৃতীয় সেট জিততে কিছুটা কষ্টই করতে হয়েছে মারেকে। ৭-৫ গেমে তৃতীয় সেট জিতে চতুর্থ রাউন্ডে খেলার ছাড়পত্র পান মারে। এই সেটটি জিততে সময় লেগেছে ৪৭ মিনিট।
তাই ম্যাচ জয়ের পর বেশ উৎফুল্লই ছিলেন মারে। তিনি বলেন, ‘ভালোভাবেই তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ জিততে পেরেছি। প্রতিপক্ষ হিসেবে খুবই আক্রমণাত্মক ছিলো বেলুচ্চি। বেশ কয়েকবার বেকাদায় পড়েছিলাম। তবে নিজের সেরাটা দিতে পারায় ম্যাচটি জিততে পেরেছি আমি।’
চতুর্থ রাউন্ড নিশ্চিত করেছেন ওয়ারিঙ্কাও। তবে কিছুটা কষ্টই করতে হয়েছে তাকে। অবাছাই বেলজিয়ামের রুবেন বেমেলম্যান্সের বিপক্ষে ৩-৬, ৬-৭ (৫/৭) ও ৪-৬ গেমে ম্যাচটি জিতেন ওয়ারিঙ্কা। পুরো ম্যাচ জিততে কোর্টে ১ ঘন্টা ৫৭ মিনিট সময় ব্যয় করতে হয়েছে ওয়ারিঙ্কাকে।
ওয়ারিঙ্কার চেয়ে বেশি সময় কোর্টে ব্যয় করে চতুর্থ রাউন্ডের পা দিয়েছেন বার্ডিচ। ৩ ঘণ্টা ২২ মিনিট লড়াইয়ের বিজয়ের হাসি হাসেন তিনি। ৩১তম বাছাই স্পেনের গুইলারমো গার্সিয়া লোপেজকে ৭-৬ (৭/২), ৬-৭ (৭/৯) ও ৩-৬ ও ৩-৬ গেমে হারিয়েছেন বার্ডিচ। -সংবাদ সংস্থা