কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের সাত নম্বর কূপ থেকে পরীক্ষামুলকভাবে জাতীয় গ্রীডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। সিলেটের গোলাপগঞ্জের এ গ্যাস ক্ষেত্র থেকে আজ দুপুরে জাতীয় গ্রীডে গ্যাস সরবরাহ
শুরু হয়। কূপের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লা বলেন, এ কূপ থেকে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হবে। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইসতিয়াক আহমদ পরীক্ষামূলক এই সরবরাহের সময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৬টি কূপ থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রীডে ৭০ থেকে ৭২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো।
২০১০ থেকে ১২ সালে বাপেক্সের কারিগরি সহায়তায় সিলেটের কৈলাশটিলা, রশিদপুর ও হরিপুর গ্যাস ক্ষেত্রে নতুন করে ত্রিমাত্রিক ভূতাত্ত্বিক (থ্রিডি সিসমিক) জরিপ চালানো হয়। জরিপ চালিয়ে কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের ৭ নম্বর কূপে তেল ও গ্যাস মজুদের সম্ভাব্যতা পায় বাপেক্স। জরিপে এ কূপের ১২টি স্তরে তেল ও গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানায় বাপেক্স। এরমধ্যে ৪ টিতে তেল, একটিতে তেল-গ্যাস, আর বাকি ৭টিতে গ্যাস মজুদের ধারণা করা হচ্ছে।
দেশের প্রথম তেল খনি হিসেবে ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী এ কুপটির খনন কাজের উদ্বোধন করেন। ২০১৪ সালের ১৭ অক্টোবরে খনন কাজ শুরু হয়। এ বছরের ৮ মার্চ খনন কাজ শেষে একটি স্তরে গ্যাসের সন্ধান পেলেও বাপেক্স তেলের সন্ধান পায়নি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, গ্যাসের উপজাত হিসেবে প্রতি মিলিয়ন গ্যাসের বিপরীতে ৮ ব্যারেল কনডেনসেটও মিলবে এ কূপ থেকে।
সিসমিক জরিপ থেকে জানা গেছে, কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রের ৭নং কূপে ৬৫৮ বিলিয়ন কিউবিক ফুট (বিসিএফ) গ্যাস মজুদ রয়েছে। এ ব্যাপারে কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের ৭ নং কূপের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লা বলেন, এ কুপ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রীডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। কিছুদিন পরীক্ষা করা হবে। কোন সমস্যা দেখা না দিলে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে।