এক সপ্তাহের মধ্যে শ্রম আইনের খসড়া বিধিমালা চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
শ্রম আইনের বিধিমালাসহ আরো কয়েকটি বিষয়ে অগ্রগতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আইএলও বাংলাদেশকে তাগিদ দেয়ার পর সরকার চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিল।
সরকার, মালিক ও শ্রমিক সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের জার্মান সফরের বিষয়ে অবহিত করতে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে জানানো হয়, রানা প্লাজা ধসের পর পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকস্বার্থ সুরক্ষার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্যোগে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও আইএলওর মধ্যে একটি চুক্তি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে ইউরোপের দেশগুলো।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানান, জার্মান সফরের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের বাস্তবতায় বিবেচনা করা হবে। তবে এই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় তা সারা দেশের পোশাকশিল্পে একযোগে শুরু করা সম্ভব নয়। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে একটি পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে এই অভিজ্ঞতার প্রাথমিক বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ করেই পাইলট প্রকল্পটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
২০০৬ সালের শ্রম আইনের আওতায় গঠিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল গঠন করা হয়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত এতে মাত্র ৮ লাখ টাকা জমা হয়। বিধিমালা করলে শ্রমিক তহবিলে টাকার জোগান বাড়বে খসড়া বিধিমালায় এমন ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন বিধিমালায় পরিবর্তন এনে শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে।