ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে শুক্রবার বন্যায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত ৪ দিনে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হল।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা সংগঠন জানিয়েছে ব্রহ্মপুত্র, দিসাঙ, ধানসিঁড়ি, জিয়া ভরালি, বেকি আর কুশিয়াড়া নদীগুলোতে পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে।
আসাম সরকার বলছে, আজ যারা বন্যায় মারা গেছে, তাঁদের মধ্যে গোয়ালপাড়া ও ডিব্রুগড়ে দুজন করে আর মোরিগাঁওতে মারা গেছেন একজন। এ নিয়ে সর্বশেষ দফার বন্যায় ৩১ আগস্ট থেকে মোট ১৩ জন মারা গেলেন।
জোরহাট, তেজপুর, গুয়াহাটি, গোয়ালপাড়া আর ধুবরীতে ব্রহ্মপুত্র নদ বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। একই সঙ্গে দিসাঙ, ধানসিঁড়ি, জিয়া ভরালি, বেকি আর কুশিয়ারাতেও জল রয়েছে বিপদসীমার উপরে।
আজ রাজ্যের আরও দুটি জেলায় বন্যা ঘোষণা করা হয়েছে, যার ফলে ২১টি জেলা এখন বন্যাকবলিত।
তবে এই দফার বন্যায় এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বরপেটায় জেলায় যেখানে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন।
আসামের বিপর্যয় মোকাবিলা সংগঠন বলছে কয়েকটি এলাকা থেকে জল নামলেও ঢেমাজি,ডিব্রগড়, নলবাড়ি, শোনিতপুর জোরহাট, দরং, কাছাড় আর গোয়ালপাড়া জেলাগুলোসহ গোটা রাজ্যের ২ হাজারেও বেশী গ্রামে বন্যার কবলে।
রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ১৪০টি নৌকা নিয়ে দূরবর্তী এলাকাগুলি থেকে মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে আসছেন। তবে অনেক এলাকায় এখনও সরকারী ত্রাণ না পৌঁছনোর ফলে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৩২০ টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ২ লাখ মানুষ। প্রতিটি বন্যাকবলিত জেলাতেই সেতু, কালভার্ট, রাস্তা আর নদী-বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা