ছিলেন ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে।বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ার পর ভোজবাজির মতো পাল্টে গেছে সাঈদ আজমলের দিনলিপি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রঙিন মঞ্চ থেকে ছিটকে গেছেন। ত্রুটি শুধরে ফিরে আসলেও আগের সেই ধার হারিয়ে ফেলেছেন পাকিস্তানের এই অফস্পিনার।
কিছুদিন হলো পাকিস্তান দলেও ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন। তাই তো চারপাশে গুঞ্জন ডালপালা মেলেছে। তবে কি অবসরে নিতে যাচ্ছেন আজমল? ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে অবশ্য আজমল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আমি এখনও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভালো বোলার। অবসরের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রধান নির্বাচক হারুন রশিদও বলেছেন, আগামী সপ্তাহে রাওয়ালপিন্ডিতে জাতীয় টি-২০ টুর্নামেন্টের মূল পর্বে আজমলকে পরখ করবেন।
কাউন্টিতে উস্টারশায়ারের হয়ে খেলে দেশে ফিরেছেন আজমল। তিনি মনে করেন, এখনও আরো দুই বছর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে পারবেন। আজমল বলেন, “আমি কখনোই এভাবে অবসর নিতে চাই না। আমি পাকিস্তানকে একাহাতে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছি।” গত বছর সেপ্টেম্বরে বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি থাকায় নিষিদ্ধ হন আজমল।
ফিরে আসার পরও সময়টা ভালো যাচ্ছে না আজমলের। গত এপ্রিলে বাংলাদেশ সফরে বল হাতে সাধারণের কাতারেই ছিলেন। কাউন্টিতে উস্টারশায়ারের হয়ে গোটা মৌসুমে মাত্র ১৬ উইকেট পেয়েছেন। এর মধ্যে ইয়াসির শাহ, জুলফিকার বাবররা পাকিস্তান দলের স্পিন আক্রমণের হাল ধরেছেন। নতুন বোলিং অ্যাকশনে থিতু হতে সময় লাগবে বলেই জানিয়েছেন এই অফ স্পিনার।
৩১ বছর বয়সেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি তার। বত্রিশে এসে অভিষেক হলেও ইতোমধ্যে তিন ফরম্যাটে প্রায় ৪০০ উইকেট নিয়েছেন।কিছুদিন পরই ৩৮ এ পা দিবেন আজমল। ফয়সালাবাদ অঞ্চলের হয়ে টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ উল হকের দলেই খেলবেন তিনি জাতীয় টি-২০ টুর্নামেন্টে। সেখানে নির্বাচকদের নজর কাড়ার জন্য পাঁচ ম্যাচ সুযোগ পাবেন আজমল। তবে পাঞ্জাবের এই ক্রিকেটার চান, খুব দ্রুতই নির্বাচকদের সঙ্গে বসে নিজের ক্যারিয়ারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা ঠিক করতে।