1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:০৭ অপরাহ্ন

ঋণ খেলাপি পৌনে ২ লাখ

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
  • ১২৮ Time View

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ খেলাপির সংখ্যা প্রায় পৌনে ২ লাখ। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানিয়েছেন। জাতীয় ghdghdসংসদের অধিবেশনে সরকারি দলের বেগম ওয়াসিকা আয়শা খানের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ঋণ খেলাপির সংখ্যা ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮১ জন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো বা সিআইবি ডাটাবেজে রক্ষিত ২০১৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা ও তদূর্ধ্ব বকেয়া স্থিতিসম্পন্ন ঋণ হিসাব এবং ১০ হাজার টাকা ও তদূর্ধ্ব বকেয়া স্থিতিসম্পন্ন খেলাপি ক্রেডিট কার্ড হিসাবের ভিত্তিতে ঋণ খেলাপীর এই সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঋণ খেলাপি বিষয়ক মামলাগুলি দ্রুত নিষ্পত্তি করে ব্যাংক ঋণ দ্রুত আদায়ের লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে খেলাপি ঋণ আদায়ের বিষয়টি রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত বিভিন্ন ব্যাংকের সাথে সম্পাদিত এনুয়েল পারফমেন্স কন্ট্রাক্টে (এপিসি) উল্লেখ রয়েছে। প্রতিমাসে আদায়ের বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করা হচ্ছে।
এম এ মান্নান বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে অর্থ ঋণ আদালতসহ অন্যান্য আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলো তদারকির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি পৃথক টাস্কফোর্স সেল আছে। উক্ত সেলের মাধ্যমে অর্থ ঋণ আদালতসহ অন্যান্য আদালতে দায়েরকৃত মামলাসমূহের সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণসহ আদালতের নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে পরিপালনের জন্য সময়ে সময়ে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে নিয়মিত তদারকি হচ্ছে। আদালতের বাইরে বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) মাধ্যমে খেলাপি ঋণের বিপরীতে আদায় ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে সরকারি দলের সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, গত ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৮৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৮ কোটি টাকা। অর্জিত হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৮৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আদায়কৃত রাজস্বের মধ্যে শুল্ক বিভাগ থেকে ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি, মূসক বিভাগ থেকে ৪৮ হাজার ২৬৪ কোটি এবং আয়কর বিভাগ থেকে ৪৮ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়।
সরকারি দলের নুরজাহান বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বর্তমানে দেশের জনগণের মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১৬৯ মার্কিন ডলার বা ১৩ হাজার ১৬০ টাকা। তিনি বলেন, ৩০ জুন পর্যন্ত পাবলিক সেক্টরে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৫ হাজার ৯০৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২ লাখ ১ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কাছে ঋণ ৭ হাজার ৭৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৬১ হাজার ৮৫১ টাকা, আইডিএ (বিশ্বব্যাংক) কাছে ঋণ ১২ হাজার ৭৯২ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১০২ হাজার ৩৪৩ টাকা, চীনের কাছে ঋণ ৯১৯ দশমিক ৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৭ হাজার ৩৫৬ টাকা, আইডিবি’র কাছে ঋণ ৪১৯ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩ হাজার ৩৫৮ দশমিক ২১ টাকা, ডেনমার্কের কাছে ঋণ ১০৮ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৮৬৯ দশমিক ২১ টাকা, জাপানের কাছে ঋণ ২ হাজার ৪২২ দশমিক ০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৯ হাজার ৩৭৬ দশমিক ১৮ টাকা, ভারতের কাছে ঋণ ২০৭ দশমিক ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ৬৫৭ দশমিক ৪৫১ টাকা, দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ঋণ ৩৪৮ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২ হাজার ৭৯১ দশমিক ৭৮ টাকা, কুয়েতের কাছে ঋণ ১৩৪ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ৭৫ দশমিক ৪৬ টাকা, ইফাদ-এর কাছে ঋণ ৩৬৬ দশমিক ৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২ হাজার ৯৩৫ দশমিক ৩৯ টাকা এবং অন্যান্য ঋণ ৪৫৬ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩ হাজার ৬৫০ দশমিক ৭২ টাকা।
অপরদিকে সরকারি দলের নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ২৬ হাজার ১৬৭ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের প্রাক্কালে অর্থাৎ ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের স্থিতি ছিল ১৭ হাজার ৪৬৫ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমান সরকারের পূর্ববর্তী মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের সময় অর্থাৎ ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারিতে রিজার্ভের পরিমাণ ৫ হাজার ৩৪৯ দশমিক ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল।
সরকারি দলের নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী ২০০৪ সালের জুন থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০০৪ সালের জুনে ২ হাজার ৭০৫ দশমিক ০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০০৫ সালের জুনে ৩ হাজার ২৩ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০০৬ সালের জুনে ৩ হাজার ৪৮৩ দশমিক ৭৮, ২০০৭ সালের জুনে ৫ হাজার ৭৭ দশমিক ২৪, ২০০৮ সালের জুনে ৬ হাজার ১৪৮ দশমিক ৮২, ২০০৯ সালের জুনে ৭ হাজার ৪৭০ দশমিক ৯৬, ২০১০ সালের জুনে ১০ হাজার ৭৪৯ দশমিক ৭৪, ২০১১ সালের জুনে ১০ হাজার ৯১১ দশমিক ৫৫, ২০১২ সালের জুনে ১০ হাজার ৩৬৪ দশমিক ৪৩, ২০১৩ সালের জুনে ১৫ হাজার ৩১৫ দশমিক ১৬, ২০১৪ সালের জুনে ২১ হাজার ৫০৭ দশমিক ৯৯ এবং ২০১৫ সালের জুনে ২৫ হাজার ২০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ