1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ন

সেই কিংবদন্তি ক্রিকেটার এখন ফুটবল কোচ!

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৫
  • ১৪৮ Time View

সময়ের চাকা ঘুরে যায় কী অদ্ভুত ভাবে! ১০ বছর আগে তিনি রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার৷ ২০০৫-এর অ্যাশেজে যিনি ত্রাহি ত্রাহি রব তুলেছিলেন বিপক্ষ শিবিরে, সেই তিনি এখন ক্রিকেট থেকে বহু দূরে! কতটা? খেলা তো ছেড়েইছেন, উল্টে পেশা বদলে হয়ে গিয়েছেন ফুটবল কোচ! নর্দার্ন লিগ ডিভিশনের দল অ্যাশিংটনের৷szdfd

কুক–ব্রিগ্রেড এবার যখন আবার নাস্তানাবুদ করছে অসিদের, তখন তার সময় কাটছে অ্যাশিংটনের ঘরের মাঠে কখনও ডাগআউটে, কখনও ফুটবলারদের নির্দেশ দিতে৷ স্টিভ হার্মিসনের জীবনে এতটা বদল ঘটল কীভাবে? মুখ খুলেছেন হার্মিসন৷ বলেন, ‘২০০৫ সালে কেউ যদি আমাকে এসে বলত অ্যাশিংটনের কোচ হবে? আমি উড়িয়ে দিতাম৷ আসলে, তখন এমন কোনও ভাবনাই ছিল না৷ কিন্তু কী অদ্ভুত দেখুন, এই বদলের সঙ্গে এখন আমি অভ্যস্ত৷ ফুটবল ক্লাবের কোচ, এটা শুনলে এখন আর হাসি পায় না৷’

এর পর হার্মিসন যোগ করেন, ‘অ্যাশিংটন আমার ঘরের ক্লাব৷ পেশাদার ক্রিকেটার হওয়ার আগে, আমি এই ক্লাবের হয়ে খেলেছি৷ আমার বাবা খেলেছেন৷ আমার ভাই জেমস এখনও খেলে৷ এমনকী ইংল্যান্ডের হয়ে যখন খেলতাম, তখন অ্যাশিংটনের হয়ে অনুশীলন করেছি৷ নিজের ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য৷ বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলতে যাওয়ার আগে যেটা অত্যন্ত জরুরি মনে হত৷’ কেমন লাগে ফুটবল ম্যানেজারের এই ভূমিকা? হার্মিসন বলেন, ‘ফুটবল কোচের ভূমিকা উপভোগ করছি৷ চ্যালেঞ্জটা ভাল লাগে৷ গুরুগম্ভীর কোচ, ফুটবল বোদ্ধা– এরকম ভূমিকা নিতে চাই না৷ বরং দলকে অনুপ্রাণিত করাই আমার কাজ৷ এফ এ কাপে দল কেমন করে, তা দেখার জন্য মুখিয়ে আছি৷’

তার ফুটবলপ্রেম নয় বোঝা গেল৷ কিন্তু এই অ্যাশিংটন ক্লাবের ইতিহাস কী বলছে? এ ক্লাব যে শহরের, সেই শহর থেকেই উঠে এসেছেন চার্লটন ব্রাদার্স৷ দেশের হয়ে ৬৩টি টেস্ট খেলে ২২৬টি উইকেট নেওয়া হার্মিসন কেন ক্রিকেট ভুলে গেলেন? ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ জয়ী দলের এই সদস্যের জবাব, ‘ফুটবল আমার জীবনে বরাবরই অনেকখানি জায়গা জুড়ে ছিল৷ একদিন দেখলাম, আমার ক্লাব নতুন কোচ খুঁজছে৷ ভাবলাম, চেষ্টা করে দেখি৷’
.

অ্যাশিংটনের কর্তারা হার্মিসনের ইন্টারভিউ নেওয়ার সময় এতটাই মুগ্ধ হন যে, দ্বিতীয় বার ভাবেননি৷ দৌড়ে ১০ জনের নাম থাকলেও, হার্মিসনকেই বেছে নেন৷ ৬ মাস আগে ৮ ফেব্রুয়ারি অ্যাশিংটনের দায়িত্ব দেওয়া হয় হার্মিসনকে৷ তার কথায়, ‘লোককে চমকে দিতে দায়িত্ব নিইনি৷ জানি না, ১০ মাস দায়িত্বে থাকব, নাকি ১০ বছর৷ তবে এখন যা করছি, উপভোগ করছি৷ নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে চাই৷’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ