1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন

মুস্তাফিজের বিশ্বরেকর্ড

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০১৫
  • ১০৪ Time View

mostafizতিন ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন মুস্তাফিজুর রহমান। এর আগে আর কোনো বোলার তিন ম্যাচের সিরিজে ১৩ উইকেট নেওয়ার হিম্মত দেখাতে পারেননি। গতকাল ১০ ওভারে ৫৭ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট দখল করেন মুস্তাফিজ। ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে সাড়া ফেলে দেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে আরও ৬ উইকেট নিয়ে একাই ধ্বংস করেন ভারতকে। মূলত মুস্তাফিজের ১১ উইকেটের কল্যাণে দুটি ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ। গতকাল ছিল শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচে ২ উইকেট নিয়ে তিন ম্যাচে ১৩ উইকেট নেওয়ার বিশ্বরেকর্ড গড়েন মুস্তাফিজ।

তিনি তিন ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে বিশ্বরেকর্ডের পাশাপাশি পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১৩ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেলেন।

২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন হ্যারিস। আর মাত্র একটি উইকেট পেলেই সেই রেকর্ডটা ছাপিয়ে যেতে পারতেন মুস্তাফিজ। কিন্তু গতকাল ৩ উইকেট না পেয়ে মুস্তাফিজ পেয়েছেন ২ উইকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে হ্যারিস ৩ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিলেও সেই সিরিজটি ছিল ৫ ম্যাচের। দুটো ম্যাচে খেলা হয়নি তার। ২০০৬ সালে কেনিয়া সফরে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশের বিপক্ষেই আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাসবার্ট ড্রেকস নিয়েছিলেন ১২ উইকেট। ২০০২ সালের বাংলাদেশ সফরে ম্যাচ ছিল তিনটি। ওয়ানডে সিরিজে তিন ম্যাচ খেলে ১২ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব আছে অস্ট্রেলিয়ান পেসার ব্রেট লিরও; কিন্তু সেটি ছিল ত্রিদেশীয় সিরিজ। অভিষেক সিরিজে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড আছে দক্ষিণ আফ্রিকার শন পোলক এবং নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদির। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৯৬ সালের সেই সিরিজে পোলক খেলেছিলেন সাত ম্যাচ। আর ২০০৮ সালের সিরিজে সাউদি খেলেছিলেন পাঁচ ম্যাচ। বাংলাদেশের নতুন বিস্ময় মুস্তাফিজ ১৩ উইকেট নিয়েছেন মাত্র তিন ম্যাচেই। প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নেওয়ার পর মুস্তাফিজ সম্পর্কে বাংলাদেশের বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক বলেন, ‘সে এখনও তরুণ। তাই আমাদের তাকে দেখেশুনে রাখতে হবে। প্রথম দুই ম্যাচেই সে ১১ উইকেট নিয়েছে। তাই বলে প্রতিদিনই তার কাছ থেকে ৫ উইকেট প্রত্যাশা করাটাও কিন্তু উচিত হবে না। সে তার সামর্থ্য প্রমাণ করেছে। যদি এখন আমরা তাকে সঠিকভাবে পথ দেখাতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে সে অবশ্যই দীর্ঘদিন ম্যাচ উইনার হিসেবে থাকবে। তারও খারাপ সময় আসবে। তখন তাকে সমর্থন করতে হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ