দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের বাদাখশান প্রদেশের দারজাব অঞ্চলে তুষারধসে এখন পর্যন্ত ৪৭ জনের প্রাণহানির খরব নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবারও উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার দাস্তি গ্রামে কমপক্ষে ৩টি তুষারধস নামে। এতে ২শ’ অধিবাসীর গ্রামটি তুষারের নিচে চাপা পড়ে যায়। বাদাখশানের গভর্নর দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর শামস উল রহমান বলেছেন, ‘আমরা এখনো আশা করছি, তুষারের নিচে চাপাপড়া বসতবাড়িতে অনেকে জীবিত আছেন। তবে যদি তুষার খুব ভারি হয় তাহলে আটকাপড়া সবাই মারা যেতে পারে।’
রহমান আরো জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই দুর্গত অঞ্চলে উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে। এখন সেখানে ১০০ উদ্ধারকর্মী কাজ করছে। এছাড়া আশপাশের গ্রামের মানুষও উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
গ্রামটিতে তুষারধসের ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, পুরো গ্রামের মাত্র ৩ নারী ও একটি শিশু রক্ষা পেয়েছে। বাকিরা ভারি তুষারের নিচে আটকা পড়েছে।
কাবুলে বাদাখশানের সংসদ সদস্য ফৌজিয়া কাফি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, একমাত্র প্রশিক্ষিত উদ্ধারকর্মীরাই ওই দুর্গম এলাকায় দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারবে।
এদিকে তুষারপাতে হতাহতের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ ও নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে কাবুলে বিদেশি দূতাবাসগুলো।
উল্লেখ্য, শীতকালে আফগানিস্তানে তুষারধসের ঘটনা একটি সাধারণ ব্যাপার। ২০১০ সালে বেশ কয়েকবার তুষারধসে দেশটিতে কমপক্ষে ১৭০ জন মানুষ প্রাণ হারায়।