1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন

সঙ্কট সমাধানে কাজ শুরু করেছেন তারানকো

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
  • ৭৭ Time View

tarankoনিশা দেশাইয়ের সঙ্গে বৈঠকে সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় জাতিসংঘ। সঙ্কটের সমাধানে সরকার ও বিরোধী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সংস্থাটির সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

এদিকে, জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজছে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। তবে এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকেই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সমাধানে পৌঁছতে হবে।

বৃহস্পতিবার এই প্রতিনিধির এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মুখপাত্র এ মন্তব্য করেন। বুধবার জাতিসংঘের রাজনৈতিক বিভাগের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর সঙ্গে বৈঠকে বসেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল।

গত বৃহস্পতিবার বিকালে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারানকো-দেশাই বৈঠকে বাংলাদেশ বিষয়ে ঠিক কি কি আলাপ হয়েছে, বা আদৌ বাংলাদেশ পরিস্থিতি আলোচনা হয়েছে কি না? এই প্রশ্নের লিখিত জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মুখপাত্র উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

এই প্রতিনিধির কাছে প্রেরিত লিখিত জবাবে মুখপাত্র বলেন, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল নিয়মিতভাবেই বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এটা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির অংশ হিসেবেই করা হয়ে থাকে। ওই মুখপাত্র বলেন, এরই অংশ হিসেবে বিগত ১১ই ফেব্রুয়ারি সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালের সঙ্গে জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্বাভাবিকভাবেই দক্ষিণ এশিয়াসহ ওই অঞ্চলের বৃহত্তর বিষয়াবলী আলোচনায় স্থান পায়।

দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মুখপাত্র ওই লিখিত প্রতিক্রিয়ায় আরও বলেন, ওই বৈঠকে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল তারানকো ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিসওয়াল বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর সঙ্গে বাংলাদেশ বিষয়াবলী নিয়েও আলোচনা করেন।

মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সঙ্কট সমাধানের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ একযোগে কাজ করছে এবং তা চলমান থাকবে। মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ সঙ্কটের একটি সম্ভাব্য সমাধানের উপায় নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, তবে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকেই শেষ পর্যন্ত একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে তারানকো-দেশাই বৈঠকে বাংলাদেশ বিষয়ে কি আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে জাতিসংঘের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মুখপাত্র ম্যাথিয়াস গিলম্যাড এই প্রতিনিধিকে টেলিফোনে বলেন, এটি একটি নিয়মিত বৈঠক ছিল, তবে বাংলাদেশ বিষয়ে ঠিক কি আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমার হাতে কিছু নেই।

পরবর্তীকালে ওই দিন অপরাহ্নে জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক প্রেস ব্রিফিং শুরুর আগে দিনের নিয়মিত ঘোষণায় স্বপ্রণোদিত হয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তোলেন। মুখপাত্র ওই ঘোষণায় বলেন, বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে নিশা দেশাই বিসওয়াল এবং অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে এবং এ বিষয়ে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনটি প্রশ্ন করা হয়। বিরোধী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার প্রবেশে বাধা দেয়ার প্রসঙ্গও উঠে আসে। প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রশ্নোত্তরের অংশটি তুলে ধরা হলো:

প্রশ্ন: বাংলাদেশে পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়নি। মনে হচ্ছে সঙ্কটের কোন সমাধান নেই। কেননা,  বিরোধীরা অব্যাহতভাবে গ্রেপ্তার আর কারারুদ্ধ হওয়ার চাপে রয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব দেশটিতে বিশেষ প্রতিনিধি পাঠানোর কোন চিন্তাভাবনা করছেন কিনা ?
উত্তর: আগের দিন যা বলেছিলাম আপনি হয়তো তার কিছু অংশ মিস করেছেন। সেটা হলো,  শান্তিরক্ষী অফিসের প্রধান অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে জাতিসংঘ মহাসচিব ঠিক ওই ইস্যুগুলোতে বাংলাদেশ সরকার ও বিরোধী নেতাদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করার দায়িত্ব দিয়েছেন। তার কাজের অংশ হিসেবে সেটা তিনি করছেন। আর মহাসচিব স্পষ্টত বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর আমরা প্রাণহানি প্রসঙ্গে অব্যাহতভাবে নিন্দা জানাচ্ছি। আমি মনে করি, গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটা হলো-  চলমান সঙ্কটের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান।

প্রশ্ন: বুধবার ওয়াশিংটনে সহকারী মহাসচিব মি. তারানকো এবং মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিস  নিশা বিসওয়ালের বৈঠকের কথা আপনি উল্লেখ করেছেন। সংক্ষেপে কি ওই বৈঠকের ফলাফল সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারবেন?
উত্তর: না।

প্রশ্ন: এবং…
উত্তর: আমি মনে করি এ বৈঠকগুলো জাতিসংঘের সিনিয়র কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাদের মধ্যকার নিয়মিত যোগাযোগের অংশ। এটা একটা চলমান আলোচনা প্রক্রিয়া। ওই প্রসঙ্গে আপনার সঙ্গে শেয়ার করার মতো কোন বক্তব্য নেই। আমার মনে হয় আপনার উত্তর পেয়েছেন।

প্রশ্ন: আরেকটি প্রসঙ্গ হলো প্রধান বিরোধী দল বিএনপি চেয়ারপারসন যিনি তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, এখন অবরুদ্ধ রয়েছেন। আর ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষ গতকাল ও পরশু থেকে সেখানে এমনকি কোন খাবারও পাঠাতে দিচ্ছে না। সেখানের কর্মচারীরা কিছু শুকনো খাবার খাচ্ছে এমন দৃশ্য নিউজ মিডিয়াতে এসেছে। কাজেই, এসব অমানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আপনার মন্তব্য কি?
উত্তর: জাতিসংঘ মহাসচিব নিশ্চিতভাবে এ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা যে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রত্যক্ষ করছি তিনি তার শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছেন। আর তার সহকারী মহাসচিব মি. তারানকো নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
সূত্র : মানবজমিন

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ