1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৪৫ অপরাহ্ন

‘আমি তো নামতেই চাইনি’

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৫
  • ৮২ Time View

de viliওয়ান্ডারার্সে শুধু ৪৪ বলে ১৪৯ রানের এক ইনিংসই খেলেননি ডি ভিলিয়ার্স, রেকর্ড বইয়ের ওপরও ঝড় বইয়ে দিয়েছেন। দ্রুততম অর্ধশতক, শতক, দেরিতে নেমে বড় ইনিংসসহ নানা ক্যাটাগরির নানা রেকর্ড। এমন বিশ্বজয়ী ইনিংস খেলে কী বলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। সংবাদ সম্মেলনে কথায় অত ঝড় নয়, পরিমিত আর সাধারণ ভাষায় বলে গেলেন অসাধারণ এক ইনিংসের কথা…মাঠে নামার এমন একটা ইনিংস খেলার কথা ভেবেছিলেন?

ডি ভিলিয়ার্স :এটা আমার পরিকল্পনাতেই ছিল না। মাথায় ছিল ভালো খেলতে হবে, আক্রমণাত্মক খেলতে হবে। যখন মাঠে নেমেছি, আমার ওপর কোনো চাপই ছিল না। রুশো আর আমলা মিলে দারুণ একটা ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল। এজন্য আমার ইনিংসের কৃতিত্বের অনেকটা তাদের দু’জনের প্রাপ্য। আর এটাও জানতাম, আমি যদি আউট হয়েও যাই, পরে আরও কয়েকজন ব্যাটসম্যান আছে, যারা বলকে চালিয়ে খেলতে পারে।’
নিয়মিত খেলেন চার নম্বরে, এদিন তিন নম্বরে কেন?
ডি ভিলিয়ার্স : আমি তো তিন নম্বরে নামতেই চাচ্ছিলাম না। মনে হচ্ছিল সুলেমান বেনকে খেলার জন্য ডেভিড মিলারকে দরকার। তবে রাসেল ডমিনিগো (কোচ) আমাকেই তিন নম্বরে নামতে বললেন। রাসেল ডমিনিগোকে চার-পাঁচবার বলেছি, মিলারের বদলে আমিই কি যাব? সে বলল, হ্যাঁ, তুমিই যাবে। দুই-তিন ওভার পর সুলেমান বেন যখন বোলিংয়ে আক্রমণে ফিরল, তখন আবারও বললাম, ‘এখন কি মিলার যাবে?’ তখন রাসেল বলল, ‘না, তুমিই যাও। রাসেলের মনে হয়েছে, আমি নিজেদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য বলছি, যেটা আমি করে থাকি। তবে আসলেই তখন আমার মনে হচ্ছিল মিলার গেলে ভালো করতে পারবে।’
এটাই কি ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস?
ডি ভিলিয়ার্স : যে ক’টা ভালো ইনিংস খেলেছি তার মধ্যে ওপরের দিকে থাকবে_ শুধু এটি বলতে পারি। এ ইনিংসটা খেলার জন্য একটা পরিবেশ কাজ করেছে। ক্রিজে এসেই সবসময় এমন অবস্থা পাওয়া যায় না। আবার অনেক সময় এমন পরিস্থিতি পেলেও খেলা যায় না। এ দিনটা ব্যতিক্রমী একটা দিন। আমি কিছু শট খেলেছি, আর খেলেই গেছি। ভালো ইনিংস খেলেছে, এমন ব্যাটসম্যানদের জিজ্ঞেস করে দেখেন, সবাই কিন্তু এমনটাই বলবে। আমিও মাঠে গেছি আর হয়ে গেছে।’
মাঠ কি অনুকূলে ছিল?
ডি ভিলিয়ার্স :এ ধরনের মাঠ আর উইকেটে, আপনি যদি দারুণ ফর্মে থাকেন, ভালো করে নড়তে-চড়তে পারেন আর কিছুটা ভাগ্যের সহায়তাও পান, আপনি দারুণ কিছু করে ফেলতে পারবেন। শুধু বেনকে খেলার জন্য নয়, এই মাঠের জন্য আমি মিলারকে আগে চেয়েছিলাম।
নিজের অবিশ্বাস্য এ ইনিংসটাকে কী বলবেন?
ডি ভিলিয়ার্স : শুরু থেকেই টিভির সামনে বসে আমাদের ব্যাটিংয়ের প্রতিটি বল দেখছিলাম। বোঝার চেষ্টা করছিলাম কী হচ্ছে। মাঠে নামার সময় জানতাম আমাকে কীভাবে ইনিংসটা খেলতে হবে। তবে এটা বিরল ব্যাপার যে, ভাবলাম প্রথম বল থেকে ২০০ স্ট্রাইক রেটে খেলব। আজ ওইরকম একটা ম্যাচই খেললাম। যেভাবে খেলেছি সেভাবে খেলতে হলে আমার অনেক ভাগ্য দরকার।
প্রতিপক্ষের বোলিং নিয়ে কৌশল…?
ডি ভিলিয়ার্স :খেলার মধ্যে বুঝতে হয় বোলার কী করার চেষ্টা করছে। বোলারকে সহজেই আমার জন্য বল করতে দিতে পারি না। তাকে চাপে রাখার চেষ্টা করতে হয়। আমি জানি না কতটি বল খেলেছি। তবে ভেবে নিয়েছিলাম, তাকে বল করতে দেওয়ার বদলে আক্রমণ করে যেতে হবে।’
সামনেই বিশ্বকাপ। তার আগে এমন পারফরম্যান্সে আত্মবিশ্বাস নিশ্চয়ই বাড়ছে?
ডি ভিলিয়ার্স : এ ধরনের পারফরম্যান্স আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। খেলার ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বিশ্বাস করি, নিজের ওপর একটা টিম এবং একজন ব্যক্তি হিসেবে বিশ্বাস রাখা। আর এতেই আপনি আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলা আর আত্মবিশ্বাস ছাড়া খেলা দলের পার্থক্য বুঝবেন। আমরাই বিশ্বের সেরা দল_ এমন আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা বিশ্বকাপে যেতে চাই। কোনো দলই নিজেকে সেরা ভাবা ছাড়া বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। আমাদের নিজেদের বিশ্বাস করাতে হবে। আমার মনে হয় তার কাছাকাছিই আছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ