1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন

টি-টোয়েন্টিতে রানের বিশ্বরেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১২ জানুয়ারি, ২০১৫
  • ৯৭ Time View

westindizzzটি-টোয়েন্টির রেকর্ড বুকে এবার ঢুকে পড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাম। আর সেই রেকর্ড সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার! সেই সঙ্গে ওয়ান্ডারার্স-ও সাক্ষী হয়ে রইল দু’টি রেকর্ডের। প্রথম রেকর্ডটি ওয়ান ডে-র এবং দ্বিতীয়টি টি-টোয়েন্টির।

রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান তোলে। ডুপ্লেসির ব্যাটিং দাপটে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েন ক্রিস গেইলরা। ৫৬ বলে ১১টি বাউন্ডারি ও ছ’টি ওভার বাউন্ডারির সহযোগে তিনি ১১৯ রান করেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির তালিকায় ঢুকে পড়ে তার নাম। তার ঝোড়ো ইনিংস  ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়।

রানের পাহাড় মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এভাবে তোপের মুখে উড়িয়ে দিয়ে সিরিজ জিতে নেবে সেটা বিশ্বাসই করতে পারেনি গোটা ওয়ান্ডারার্স। ডুপ্লেসির ব্যাটিং দাপটও ফিকে হয়ে গিয়েছিল গেইল ঝড়ের কাছে। এই ফরম্যাটে ১৮০-র উপরে রান তুলে কোনো ম্যাচই হারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই রেকর্ডের কথা মাথায় রেখেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কিছুটা হাল্কা ভাবে নিয়েছিলেন ডুপ্লেসিরা। কিন্তু তার মাসুল যে হার দিয়েই চুকোতে হবে সেটা ভাবতে পারেননি তারা। আর এই অবাক কাণ্ড ঘটানোর মূল কাণ্ডারি ক্রিস গেইল।

২০০৭-এ এই ওয়ান্ডারার্সেই তিনি প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করেছিলেন। রোববার শতরান না পেলেও ৪১ বলে তার ৯০ রানের ঝোড়ো ইনিংস ম্যাচের গতি ঘুরিয়ে দেয়। তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন মার্লন স্যামুয়েলস। তিনি ৩৯ বলে ৬০ রান করেন। এরা দু’জন প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার পর ম্যাচ জেতানোর ‘ফাইনাল টাচ’টি দেন ড্যারেন সামি। চার বল বাকি থাকতেই ১৯.২ ওভারেই ২৩৬ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকার হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই সঙ্গে সিরজও নিজেদের দখলে রাখে তারা।

পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ম্যাচ জেতার ঘটনা ২০০৬-এর ১২ মার্চের স্মৃতি উস্কে দিয়েছে। সে বছর এই মাঠেই এক দিনের ম্যাচে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। রিকি পন্টিংরা তখন সেরা ফর্মে। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে তাদের ঘরের মাঠে বোলারদের দুরমুশ করেছিল অজিরা। রান তুলেছিল ৪৩৪। সেই এক দিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড তালিকায় স্থান পায় তারা। অজিরা সে দিন ভাবতে পারেনি এই রেকর্ড ক্ষণস্থায়ী হতে চলেছে। ঘরের মাঠে অজিদের মার হজম করতে পারেননি হার্সেল গিবসরা। মাঠে নেমেই ১৭৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন গিবস। এখানেও ঠিক ছিল। কিন্তু ৪৩৫ রানের লক্ষ্য যখন স্মিথরা অতিক্রম করল গোটা বিশ্ব তখনও বিশ্বাস করতে পারেনি রেকর্ড ভেঙে রেকর্ড করে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফরম্যাট এক না হলেও সে দিনের রেকর্ড ও রবিবারের রেকর্ডের মধ্যে ফারাক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আবার রেকর্ডের ঘটনাস্থলও সেই ওয়ান্ডারার্স!

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ