1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০৭ অপরাহ্ন

তিস্তায় আপত্তি, ছিটমহল বিনিময়ে রাজি মমতা

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৪
  • ১০৮ Time View

momta18অবশেষে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় নিয়ে আপত্তি প্রত্যাহার করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই বিনিময়ের ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তাদের ক্ষতিপুরণে দিয়েই বাংলাদেশের সঙ্গে ওই চুক্তি করার দাবি তুলেছেন তিনি। মমতার দাবি এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্র সরকারকে। এ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলেই ক্ষতিপূরণ ঠিক করতে হবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ছিটমহল বিনিময়ে স্থানীয় লোকেদের আপত্তি না থাকলে, আমার আপত্তি থাকার কথা নয়। আমরা সমীক্ষা করে দেখেছি, স্থানীয় লোকের আপত্তি নেই। তারা কেবল উপযুক্ত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ চাইছেন।’

ক্ষতিপূরণ নিয়ে দিল্লিতে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে মমতা বলেন, ‘আমি শুনেছি, স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যাপারে একতরফা কথা হয়েছে। কিন্তু এভাবে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে পাশ কাটিয়ে একতরফা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’

ছিটমহল বিনিময়ে সম্মতি দিলেও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে কিন্তু আগের মতোই অনড় রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মতে, তিস্তার পানির সঙ্গে রাজ্যের স্বার্থ জড়িত। তার অভিযোগ, কেন্দ্র গোপনে ফারাক্কার পানি ছেড়েছে। এতে তিস্তার পানি বেড়েছে। কিন্তু তিস্তার পানি বণ্টনে রাজ্য কোনোভাবে সায় দেবে না।

মমতা জানান, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে তার এবং রাজ্য সরকারের সম্পর্ক কোনোদিনই খারাপ  না। সম্পর্ক তো খারাপ করেছে গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া। মানে আগের সরকারের আমলে খারাপ হয়ে গিয়েছিল এটা। এই সরকার কি করছে না করছে জানি না।’

মমতা আপত্তি জানানোয় এত দিন হতাশ ছিলেন ছিটমহল এলাকার বাসিন্দারা। তারা এ নিয়ে আন্দোলন করে লাগাতার চাপ সৃষ্টি করেছেন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের  ওপর।

ছিটমহল নিয়ে মমতার মনোভাবকে স্বাগত জানিয়েছে ছিটমহল বিনিময়ের দাবিতে আন্দোলনরত ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় দাবি সমন্বয় সমিতি। সংগঠনের সহ-সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি। এটা সামগ্রিকভাবে বাংলা ও বাঙালির জয়। এই চুক্তি হওয়ার সাথে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে।’

মমতা এভাবে আপত্তি তুলে নিতে রাজি হলেও বেঁকে বসেছেন আসামের বিজেপি  নেতারা। আসামের প্রচুর জমি বাংলাদেশে চলে যাবে বলে ওই রাজ্যের বিজেপি নেতাদের দাবি।

একসময় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদেরও অবশ্য আপত্তি ছিল এ বিষয়ে।  সাবেক ইউ পি এ সরকারের আমলে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী সুষমা স্বরাজ ও বিরোধিতা করেছিলেন এ নিয়ে।  বর্তমান কেন্দ্র সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে সুর নরম করায় এবার ছিটমহল বিনিময়ের সম্ভাবনা বেড়েছে। সূত্র: আইআরআইবি

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ