মুমিনুল হকের ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে রয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। টেস্টের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের লিড ৩৫০ পেরিয়ে গেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ তিন উইকেটে ২৩৩ রান। বাংলাদেশের লিড গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬২ রানে। মুমিনুল হক ১০২ ও সাকিব ১৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
শনিবার তৃতীয় ও শেষ টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুতে ইমরুল কায়েস ফিরে গেলেও তামিম ও মুমিনুলের ব্যাটিং দৃঢ়তায় দারুণ খেলছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। তবে লাঞ্চের পর তামিম ফিরে গেলে একটু ধাক্কা খায় মুশফিকের দল।
দলীয় ১৪৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬৫ রান করে তামিম ইকবাল মুশাঙ্গুয়ের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তামিমের ১৪২ বলের ইনিংসটি ৪টি চারে সাজানো ছিল।
তামিম ফিরে গেলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মুনিলুন। মাহমুদুল্লাহ ৩০ রান করে ফিরে গেলেও সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে মুমিনুল তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। মাত্র ১২তম টেস্টে তিনি এই চারটি সেঞ্চুরি করেন।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৫০৩ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় ৩৭৪ রানে। ১২৯ রানের লিড নিয়ে বাংলাদেশ এখন ব্যাট করছে।
এর আগে ইমরুল ও তামিমের জোড়া সেঞ্চুরি ও সাকিব আল হাসানের হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে প্রথম ইনিংসে ৫০৩ রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে ইমরুল ১৩০ ও তামিম করেন ১০৯ রান। এছাড়া সাকিব ৭১ ও মুমিনুল করেন ৪৮ রান।
বাংলাদেশের ৫০০ রানের পাহাড়ে উঠার পেছনে অবদান রয়েছে রুবেল হোসেন ও জোবায়ের হোসেনেরও। এই দুজন শেষ উইকেট জুটিতে ৫১ রান করেন, যা বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ড। রুবেল ৪৫ রান করেন এবং জোবায়ের করেন পাঁচ রান।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সিকান্দার রাজা ১২৩ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট লাভ করেন। তিনাশে পানিয়াঙ্গারা, ‘দুই মাসাকাদজা’ শিঙ্গি ও হ্যামিল্টন-প্রত্যেকেই দুটি করে উইকেট লাভ করেন।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৫০৩ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় ৩৭৪ রানে।
জিম্বাবুয়ের হয়ে চিগম্বুরা সর্বোচ্চ ৮৮ রান করেন। এছাড়া সিকান্দার রাজা ৮২, মাসাকাদজা ৮১ ও চাকাভা করেন ৬৫ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে জোবায়ের পাঁচটি ও শফিউল নেন দুটি উইকেট। এছাড়া সাকিব, তাইজুল ও রুবেল একটি করে উইকেট নেন।
প্রথম দুই টেস্ট জিতে তিন ম্যাচ সিরিজে আপাতত ২-০ তে এগিয়ে রয়েছে মুশফিকের দল।