ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও পরাজয়ের প্রহর গুনছে বাংলাদেশ। টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪২৭ রানের লিড নিয়েছে। তাতে রয়েছে এখনো ৬ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ২১৮ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরা ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান সংগ্রহ করেছে।
শিবনারায়ন চন্দরপল ৬৩ ও জার্মেইন ব্লাকউড অপরাজিত রয়েছেন ৪৩ রানে। এছাড়া ক্রেইগ ব্রাফেট ৪৫ ও লিও জনসন করেন ৪১ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে মাহমুদুল্লাহ দুটি এবং শফিউল ও তাইজুল ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।
প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টেও ফলোঅনে পড়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের করা ৩৮০ রানের জবাবে মুশফিকরা গুটিয়ে যায় ১৬১ রানে।
সোমবার ৭ উইকেটে ১০৪ রান নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ ও শফিউল দেখেশুনেই খেলছিলেন। কিন্তু দলীয় ১৩৪ রানের মাথায় ধৈর্যচ্যুতি ঘটে শফিউলের। গ্যাব্রিয়েলের করা ইনসুইং বলে বিভ্রান্ত হয়ে রামদিনকে কট দিয়ে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফিরেন শফিউল (১০)।
এরপর নবম উইকেট জুটিতে রবিউলকে নিয়ে ফলো অন এড়ানোর জন্য চেষ্টা করেন মাহমুদুল্লাহ। ক্যারিয়ারের অষ্টম হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নেন তিনি। তবে দলীয় ১৫৪ রানে মাহমুদুল্লাহ (৫৩) আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ইনিংস ফলোঅনের মুখে পড়ে বাংলাদেশ।
মাহমুদুল্লাহ যখন আউট হন তখনো ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশের দরকার ছিল ২৬ রান। রবিউল ও আল আমিন চেষ্টা করেও ফলোঅন এড়াতে পারেন নি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা প্রথম ইনিংসে ৩৮০ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে রোববার শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু ৪৮ রানে রোচের শিকার হন তিনি। কেমার রোচের বলে উইকেটরক্ষক দিনেশ রামদিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি।
এ সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৬২ রান। পরে ৪২ রান তুলতে পড়ে যায় আরো চার উইকেট হারিয়ে ফেলে মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যায় মুশফিকদের।
সেখান থেকে মাহমুদুল্লাহ ও শফিউল চেষ্টা করলেও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে কেমার রোচ পাঁচটি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া সুলেমান বেন ও জেরোমি টেলর নেন দুটি করে উইকেট। অপর উইকেটটি নেন গ্যাব্রিয়েল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্রেথওয়েইট ৬৩, জনসন ৬৬, চন্দরপল ৮৪* ও টেইলর ৪০ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে আল আমিন ৮০ রানে তিনটি উইকেট নেন। রবিউল, শফিউল ও তাইজুল দুটি করে উইকেট পান। -ওয়েবসাইট