ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী শুরু হতে যাওয়া এগারতম আসরের পাঁচ মাস আগে শীর্ষ দলগুলো বিশ্বকাপ নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। দলের কোন বিভাগ শক্তিশালী, কোন বিভাগে অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে অথবা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে কি কি করতে হবে। তা নিয়েও এখন থেকেই কৌশলের নকশা তৈরিতে প্রযুক্তি, ল্যাপটপ ও কাগজ কলম নিয়ে ব্যস্ত দলগুলোর টিম ম্যানেজমেন্ট। টেস্ট প্লেয়িং শীর্ষ দশ দল নিয়ে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো কিছু বিশ্লেষণ।
১. ভারত: মাঠের লড়াইয়ে চোখ জুড়ানো পারফরমেন্স প্রদর্শন করে বিশ্বকাপের দশম আসরের শিরোপা জিতে নেয় ভারত। ২৮ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হবার কৃতিত্ব দেখায় মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। তাই আগামী বিশ্বকাপে নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিতে প্রস্তত থাকবে টিম ইন্ডিয়া। তারচেয়ে বড় কথা শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে ভারত।
বর্তমানে ভারতের ওয়ানডে দলটি বেশ শক্তিশালী। তরুণ খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা দলটি সীমিত ওভারের ম্যাচে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবেই বিবেচিত। মূলত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) কারণেই ওয়ানডে ফরম্যাটে দুর্দান্ত এক দলে পরিণত হয়েছে ভারত। আইপিএলে বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের সাথে খেলেই নিজেদের পারফরমেন্সের উন্নতি ঘটিয়েছে তারা।
প্রতিবছর আইপিএল অনুষ্টিত হওয়ায় বিশ্বের সেরা বোলারদের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাচ্ছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। এতে তাদের অভিজ্ঞতার ভান্ডার মজবুতও হচ্ছে। যেমন, ডেল স্টেইন-মিচেল জনসন-সুনীল নারাইনদের বিপক্ষে খেলার কৌশলটা ভালোভাবেই আয়ত্বে নিতে পারছে ধোনি-রায়না-কোহলিরা। সেই সাথে বলের সাথে তাল মিলিয়ে দ্রুত রান তোলায় অভ্যাসটাও আইপিএল থেকে রপ্ত করেছে তারা।
শুধুমাত্র ব্যাটসম্যানরাই নয়। আইপিএল থেকে দারুণ সহায়তা পাচ্ছে ভারতীয় বোলাররাও। বিশ্বের বাঘা-বাঘা ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বল করার কৌশলটাও রপ্ত করতে পারছে তারা।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের পিচ পেস সহায়ক হওয়ায় সেখানে স্পিনারদের সুবিধা পাওয়ার সম্ভবনা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে ভারতীয় দল অনেকাংশে স্পিন নির্ভর। রবীচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, অমিত মিশ্রর মতো উদীয়মান স্পিনার দলে রয়েছে। তাই স্পিনারদের পারফরমেন্সের উপর ভারতের সাফল্যে যে নির্ভর করছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমানে র্যাংকিং-এর এক নম্বরে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া।
২. দক্ষিণ আফ্রিকা: বিশ্বকাপের আগে সবসময়ই টপ ফেভারিটের তালিকায় উপরের দিকে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকার নাম। সেই সাথে চোকার্স নামটাও গায়ের সাথে বেশ ভালোভাবে লেগে আছে প্রোটিয়াসদের। আগামী বিশ্বকাপেও এর ব্যতিক্রম হবে না। সর্বশেষ বেশ কয়েকটি বিশ্বকাপেও তীরে এসে তরী ডুবিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডেতে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে দক্ষিন আফ্রিকা। ভারত, শ্রীলংকা ও জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে প্রোটিয়াসরা। এছাড়া এ মাসেই জিম্বাবুয়ের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াসহ ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের শিরোপা জয় করে এবি ডিলিয়ার্সের দল। যা তাদের আত্মবিশ্বাসের জন্য যথেষ্ট।
ব্যাটিং বিভাগে বেশ শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশেষভাবে উপরের সারির চারটি পজিশনে। দুই ওপেনার হাসিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক ইনিংস মেরামতের দায়িত্বে থাকবেন। এরপর তিন নম্বরে রয়েছেন টুয়েন্টি টুয়েন্টির অধিনায়ক ফাফ ডু-প্লেসিস। সদ্য শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনটি সেঞ্চুরি হাকিয়েছেন প্লেসিস। আর চার নম্বরে রয়েছেন ওয়ানডের সেরা খেলোয়াড় এবি ডি ভিলিয়ার্স। কোন পরিস্থিতিতে কিভাবে ব্যাট চালাতে হবে, তা বেশ ভালোই জানেন ডি ভিলিয়ার্স। অধিনায়ক হিসেবে নিজের ক্যারিশমা ইতোমধ্যে দেখিয়ে ফেলেছেন তিনি।
বোলিং বিভাগে দক্ষিণ আফ্রিকার মূল অস্ত্র পেস বিভাগ। সেখানে রয়েছেন বিশ্বের এক নম্বর বোলার ডেল স্টেইন। তার সাথে বোলিং ওপেন করবেন মরনে মরকেল। এছাড়া স্পিনার হিসেবে বেশ পারদর্শী পাকিস্তানে জন্মগ্রহণকারী ইমরান তাহির। ইতোমধ্যে ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজের যোগ্যতার প্রমাণও দিয়েছেন তাহির।
৩. শ্রীলংকা : ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় শ্রীলংকা। এরপর ২০০৭ ও ২০১১ বিশ্বকাপেও ফাইনালে উঠে তারা। কিন্তু ভাগ্য সাথে না থাকায় রানার্স-আপ হয়েই সন্তষ্ট থাকতে হয় লংকানদের। তাই বিশ্বকাপে ভালো পারফরমেন্সে করার ক্ষেত্রে এশিয়ার সেরা দল হিসেবেই বিবেচনা করা হয় শ্রীলংকাকে।
তবে দলের সেরা দুই খেলোয়াড় মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারার জন্য এবারের বিশ্বকাপটি শ্রীলংকার জন্য বিশেষ কিছু। কারণ আগামী বিশ্বকাপের পরই দলের সেরা এই দুই খেলোয়াড়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো নিশ্চিত প্রায়। তাই এই দুই গ্রেট খেলোয়াড়কে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উপহার বিশ্বকাপ ট্রফি দিয়েই বিদায় জানাতে চাইবে শ্রীলংকা।
দল হিসেবে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ শ্রীলংকা। ব্যাটিং-এ জয়াবর্ধনে, সাঙ্গাকারার সাথে রয়েছেন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, তিলকরত্নে দিলশান, উপুল থারাঙ্গা। অলরাউন্ডার হিসেবে সেরার তকমাটা ইতোমধ্যে পেয়ে গেছেন থিসারা পেরেরা। আর বোলিং বিভাগে শ্রীলংকার সেরা বোলার লাসিথ মালিঙ্গা। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের বেকাদায় ফেলতে বেশ পারদর্শী মালিঙ্গা। স্পিন বিভাগে তুরুপের তাস রয়েছেন বাঁ-হাতি রঙ্গনা হেরাথ।
৪. অস্ট্রেলিয়া: এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ চারবার বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাই পঞ্চমবারের মত বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তোলার লক্ষ্যে নিয়ে মাঠে নামবে অসিরা। আর স্বপ্ন পূরণের জন্য জ্বলে উঠতে হবে ডেভিড ওয়ার্নার-শেন ওয়াটসন-মাইকেল ক্লার্কদের।
ব্যাটিং বিভাগে রয়েছেন ওয়ার্নার, ওয়াটসন, ক্লার্ক, জর্জ বেইলি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা। ব্যাটিং-এর মত বোলিং বিভাগও বেশ শক্তিশালী অসিদের। মিচেল জনসনের সাথে পেস অ্যাটাকে রয়েছেন মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স। তবে স্পিন দিয়ে দু:চিন্তাটা বড় আকার ধারন করবে তা বলাই যায়। দলে মান সম্পন্ন তেমন কোন স্পিনার নেই। তাই বিশ্বকাপের আগে স্পিন বিভাগে নিয়ে বেশি কাজ করতে হবে কোচ ড্যারেন লেহম্যানকে। বিশ্বকাপের আগে এই সমস্যা দূর না হলে অকেশনাল স্পিনার দিয়ে কাজ চালাতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে।
৫. ইংল্যান্ড: ৫০ ওভার ফর্মেটে সম্প্রতি নিজ মাঠে ভারতের কাছে সিরিজ হারানোর পর খুব সামান্য আশা নিয়েই বিশ্বকাপে খেলতে নামছে এ পর্যন্ত শিরোপা স্পর্শ না করা ইংল্যান্ড দল।
সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট খেলুড়ে সকল দেশের চেয়ে কম গড় রান রেট নিয়ে অধিনায়ক এলিস্টার কুক এই ফর্মেটের অধিনায়কত্ব করার যোগ্যতা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।
দলটির সাবেক স্পিনার গ্রায়েম সোয়ান সম্প্রতি বলেছেন কুকের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের কোনো সম্ভাবনাই নেই। কুকের নেতৃত্বেও ধরন এবং ব্যাট হাতে ব্যর্থতার কারনে কুকের পরিবর্তে অন্য কাউকে অধিনায়ক হিসেবে দেখা গেলে বিস্ময়ের কিছু থাকবে না।
ইংল্যান্ডের রয়েছে মেধাবী ওয়ানডে খেলোয়াড়। এ্যালেক্স হেলস একজন আগ্রাসি ওপেনিং ব্যাটসম্যান। ইয়োইন মরগান বিশেষজ্ঞ ফিনিশার। উইকেটরক্ষক জস বাটলার অসাধারণ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান এবং গ্যারি গার্নি চমৎকার ডেথ বোলার।
টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত জো রুট এবং ইয়ান বেল ওয়ানডে ক্রিকেটেও দক্ষ। কিন্তু আধুনিক ৫০ ওভার ফর্মেটে ম্যাচ জিততে তাদের এ্যাপ্রোচের পরিবর্তন আনতে হবে।
৬. পাকিস্তান: দলটিতে মেধাবী অনেক তরুণ খেলোয়াড় রয়েছে। আনপ্রেডিক্টেবল দল হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানের জন্য বড় ধাক্কা এ মাসের প্রথম দিকে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়া।
অবশ্য নিজের বোলিং এ্যাকশন শোধরানোর জন্য বিশ্বকাপের আগে পাঁচ মাস সময় পাচ্ছেন আজমল। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্ব সেরা এ বোলার আবরো তার দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারবেন কি না, সময়ই তা বলে দেবে।
১৯৯২ চ্যাম্পিয়ন দলটির নেতৃত্ব নিয়েও বেশ খানিকটা জটিলতা রয়েছে। ড্রেসিং রুমে সবচেয়ে স্থিতিশীল ফিগার মিসবাহ উল হক। কিন্তু সিমিত ওভারে ৭৪ স্ট্রাইক রেটের কারণে দীর্ঘ দিন যাবত সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।
গত মাসে শ্রীলংকায় সিরিজ হারার পর অনেকেই তার পরিবর্তে আক্রমনাত্মক শহিদ আফ্রিদিকে অধিনায়ক করার দাবী জানাচ্ছেন। অবশ্য পিসিবি চেয়ারম্যানের সমর্থন মিসবাহর প্রতিই।
৭. নিউজিল্যান্ড: বেশ কয়েক বছর যাবত নিউজিল্যান্ড দলের ব্যাটিং লাইনআপ বেশ স্থিতিশীল। মার্টিন গাপটিল, কেন উইলিয়ামসন, রস টেইলর এবং অধিনায়ক ব্রেন্ডান ম্যাককালাম শীর্ষ পাঁচের চার চারটি স্থান পূর্ণ করতে পারেন।
দলটির বড় ইস্যু হকে পারে গাপটিলের ওপেনিং পার্টনার পাওয়া। সে ক্ষেত্রে কেউ কেউ আশা করছেন আচরণগত সমস্যাগুলো পাশে রেখে হার্ড হিটার জেসে রাইডারকে পুনরায় দলে ডাকা হতে পারে।
টিম সাউদি, কাইল মিলস, ট্রেন্ট বোল্ট এবং মিচেল ম্যাকক্লেনাঘান হতে পারেন দলের প্রধান পেস বোলার এবং তাদের সঙ্গে পঞ্চম বোলার হিসেবে থাকতে পারেন তরুণ তুর্কি এডাম মিলনে অথবা ম্যাট হেনরি।
পুরোপুরি ফিট থাকলে দলে থাকতে পারেন সিমিত ওভারের ক্রিকেটে সবচেয়ে কিপটে বোলার ও লোয়ার অর্ডারে হ্যান্ডি ব্যাটসম্যান সাবেক অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টরি।
৮. ওয়েস্ট ইন্ডিজ: গত মাসে হঠাৎ করেই ওটিস গিবসন সরে দাঁড়ানোয় এই মুহুর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের নিয়মিত কোন কোচ নেই এবং বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তত্বাবধায়ক কোচ রিচি রিচার্ডসনই দায়িত্ব পালন করতে পারে।
সম্প্রতি সিমিত ওভারের একটি সিরিজে টপ অর্ডার যদিও ব্যর্থ হয়েছে। তবে দলে রয়েছেন বিধ্বংসী ওপেনার ক্রিস গেইল। তিনি পুরোপুরি ফিট থাকলে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা আবারো বিশ্বকাপে সাফল্য পেতে পারে।
এ ছাড়া দলে রয়েছেন তারকা স্পিনার সুনিল নারাইন। টি-২০ ক্রিকেটে অসামান্য সাফল্য পাওয়া নারাইন দলের বোলিং ইউনিটকে আরো শক্তিশালি করে তুলতে পারে।
৯. বাংলাদেশ: বিশ্বপর্যায়ে ৫০ ওভার ফর্মেটে বাংলাদেশের উন্নতি করার যথেষ্ঠ সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটে দলটি নিজেদের পরিচয় ঠিকমত তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে।
দলটি মুলত স্পিনারদের ওপর বেশি নির্ভরশীল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের পেস সহায়ক কন্ডিশনে তাদের ভালো করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
শৃংখলাজনিত কারণে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ দলের কিছু সমস্যাও ছিল বটে। তবে বিশ্বের শীর্ষ দলগুলোর বিপক্ষে আপসেট ঘটানোর জন্য দলটির সেরা অস্ত্র সাবেক এ অধিনায়ক এবং বিশ্বকাপেও তিনি অপত্যাশিত কিছু ঘটাতে পারেন।
১০. জিম্বাবুয়ে: সম্প্রতি নিজ মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে এক ম্যাচে পরাজিত করা ছাড়াও প্রোটিয়াসদেরও এক ম্যাচে হারিয়ে আপসেট ঘটানোর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে।
দলের ব্যাটিং লাইনআপ খুব বেশি শক্তিশালি না হলেও বেশ কয়েকজন হার্ড হিটার রয়েছে এবং গত মাসে এলটন চিগুমবুরার কাছে ওয়ানডে নেতৃত্ব দেয়া ব্রেন্ডান টেলর এমন একজন খেলোয়াড় যিনি একাই একটি ইনিংস গড়তে পারেন।
ব্যাট-বলে ধারাবাহিকতা খুব বেশি নেই দলটির এবং এখন থেকে বিশ্বকাপের আগে এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম।– এএফপি/বাসস।