1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩০ অপরাহ্ন

মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশ ও সার্বিয়ার মধ্যে কুটনীতিক এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতিকরণ চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৫ মে, ২০১৪
  • ৬৬ Time View

image_80193_0বাংলাদেশ ও সার্বিয়ার মধ্যে কুটনীতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের অন্য দেশ সফর বা ভ্রমণে এখন আর ভিসা লাগবে না।
এ দু’দেশের মধ্যে কুটনীতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ভিসা অব্যাহতিকরণ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে উভয় দেশের মধ্যে যেমন সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পাবে, তেমনি বাণিজ্য সুবিধা ও বিনিয়োগের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ দু’ দেশের সে সকল নাগরিক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত রয়েছেন, তারাও ভিসা অব্যাহতিকরণ সুবিধার আওতায় পড়বে।
তিনি বলেন, উভয় দেশের সফরকারীগণ ৯০ দিনের জন্য এ সুবিধা পাবেন।
সচিব বলেন, চুক্তির নির্দিষ্ট কোন মেয়াদ নেই। তবে কোন দেশ চাইলে অন্য দেশকে নোটিশ দিয়ে চুক্তি বাতিল করতে পারবে।
তিনি বলেন, চুক্তিটি বাংলা, সার্বিয়া ও ইংরেজি, এই তিন ভাষায় লিখিত হবে। তবে গুরুত্ব পাবে ইংরেজি ভাষা।

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বস্ত্র খাতের পোষক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তরে ন্যস্ত করার নিমিত্তে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ইতঃপূর্বে গ্রহীত সিদ্ধান্ত সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, শিল্পনীতিতে বলা হয়েছে, যে শিল্প যে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন, তারাই হবে ওই শিল্পের পোষক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ১৯৯২ সালের ৭ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পোষক কর্তৃপক্ষ হবে বাংলাদেশ কুটিরশিল্প কর্পোরেশন (বিসিক), রপ্তানী ও প্রক্রিয়াজাত পণ্যের পোষক হবে বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (বেপজা) এবং অন্য সব শিল্পের পোষক হবে বিনিয়োগ বোর্ড।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিল্পনীতি অনুযায়ী বস্ত্র খাতের পোষক হয় বস্ত্র অধিদপ্তর, আবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পোষক হয় বিনিয়োগ বোর্ড। এ জটিলতা নিরসনের জন্যই আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৯২ সালের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
তিনি বলেন, এর ফলে এখন থেকে বস্ত্র খাতের পোষাক কর্তৃপক্ষ হবে বস্ত্র অধিদপ্তর।

মোশাররফ হোসেন বলেন, গত ৪ এপ্রিল জেনেভায় অনুষ্ঠিত ‘দ্বিতীয় জেনেভা ডায়লগ’-এ বাণিজ্যমন্ত্রীর অংশগ্রহণ ও আরব আমিরাত সফরের সাফল্য মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে মিলেনিয়াম ডেভেলমমেন্ট গোল (এমডিজি) এর সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে। তার পরে কি হবে, সে বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী সরকার ও সরকারের বাইরে আলোচনা চলছে, জেনেভা ডায়লগে তার উপরই গুরুত্বারোপ করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জেনেভা ডায়লগে ২০২০ সালের মধ্যে সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, জেনেভো ডায়লগে আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে জানান, এমডিজি বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রত্যাশিত সহযোগিতা পায়নি। তবে এসডিজি বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশ যেন প্রত্যাশিত সহযোগিতা পায় সে নিশ্চয়তা বাংলাদেশকে তাদের দিতে হবে।

সচিব বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আরব আমিরাত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দুবাইয়ের শাসক, সে বিষয়টি বাণিজ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ